মাধপুর দিবসে নিহত ১৭ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫০ গ্রামবাসীর স্মরণে বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন
- প্রকাশিত সময় ০১:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
- / 248
মাধপুর শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন নূরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি।-স্বতঃকণ্ঠ
৭১এর ২৯ মার্চ। পাবনা জেলার মাধপুর দিবস। এ দিন পাক বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবী জনতার সম্মুখযুদ্ধ হয়। সেদিন এই যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ১৭ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং ৫০ জন নীরিহ গ্রামবাসী।
প্রতি বছর এই দিনে বীর শহীদ জনতার আত্মত্যাগের প্রতি গভীরভাবে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলীসহ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল (বুধবার) বিকেলে পাবনা -৪ (ঈশ্বরদী – আটঘড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামামান বিশ্বাসের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক মাধপুর দিবস উপলক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলার শাহাপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুল ইসলামের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কবর জিয়ারত করেন।
একই সঙ্গে তাঁর কবর সংস্কারের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন ।
এ সময় ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ আলী মালিথা, জেলা পরিষদের সদস্য তৌফিকুজ্জামান রতন মহলদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, সাঁডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, শাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমলাক হোসেন বাবু, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুরাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মাধপুর মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরের সভাপতি এস এম সাজেদুল নিলু বিশেষ দোয়া ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে তৎকালিন পাবনা এ্যাডওর্য়াড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগরে এজিএস ও প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ রশীদূল্লাহ জানান, ২৯ মার্চ পাকবাহিনীর একটি সাজোয়া বহর পাবনা থেকে মাধপুর কাঁচা রাস্তা ধরে ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মাধপুরে স্থানীয় গ্রামবাসী, যাঁর কাছে যা আছে, তাই নিয়ে সেদিন সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে জড়াে হয়ছেলি। মুক্তিযোদ্ধাদের বাধার সম্মুখীন হয়ে পাকবাহিনী গাড়ি বহর থেকে বৃষ্টির মত গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওইদিন মূলত কোনো কমান্ড ও নেতৃত্ব ছাড়াই শুধুমাত্র দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় খালিহাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই যুদ্ধে তৎকালিন ঈশ্বরদী সরকারী কলজে ছাত্রলীগরে সভাপতি হাববিুর রহমান রাজু, আব্দুর রাজ্জাক, ওহদিুর রহমান, আব্দুল গফুর, নুরুল ইসলাম, আলী আহম্মদ, নবাব আলী, হামির উদ্দীন ও ফরমান সরদারসহ ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৫০ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।
পরে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী অক্ষত অবস্থায় কেউ ফিরে যেতে পারেনি। ###