সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জমজমাট নতুন ধান বিক্রয়ের হাট
- প্রকাশিত সময় ০৭:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
- / 147
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হাটে নতুন বোরো (ইরি) ধান বিক্রয় করছে কৃষকেরা। মণপ্রতি এক হাজার থেকে সাড়ে বারশত টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে নতুন ধান। কৃষকেরা এখন ধান কাটার মজুরদের মজুরি মেটাতে হাটগুলোয় নতুন ধান এনে বিক্রয় করছে।
বৃহস্পতিবার ৪ মে বোয়ালিয়া, সলঙ্গা হাটে শত শত মণ নতুন ধান আমদানী ও বেচাকেনা হয়েছে।
গৃহস্থেরা দু’পাচ দশ মণ করে নতুন বোরো ধান হাটে এনে বিক্রি করছেন। পাবনা, কুষ্টিয়া ও বিভিন্ন জেলার ধান ব্যবসায়ী ও ধান চাতাল মালিকেরা সলঙ্গা হাট থেকে ধান কিনেছেন।
বোয়ালিয়া হাট থেকে চাতাল মালিকেরা ছাড়াও কম পুজির ব্যবসায়ীরা ধান কিনেছেন।
সলঙ্গায় সপ্তাহের দুদিন বৃহস্পতিবার ও সোমবার হাটবার ছাড়াও মৌসুম কালে প্রতিদিনই ধান বেচাকেনা হয়।
সলঙ্গায় এখন প্রায় চল্লিশটি আড়তের মাধ্যমে ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা খোলাভাবে ধান বেচাকেনা করছে।
সলঙ্গা ধান আড়ত মালিক স্বপন আহমেদ ও বেলাল হোসেন বলেন, এখন বোরো ধান কাটা চলছে। সলঙ্গায় হাটবার ছাড়াও সপ্তাহের প্রতিদিনই শত শত মণ ধানের আমদানী হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার হাটে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মণ ধান আমদানী হয়েছিলো।
কাটারীভোগ ধান মণপ্রতি বারশত থেকে তেরশত টাকা, ব্রি-২৯ মণপ্রতি এক হাজার বিশ থেকে এক হাজার আশি টাকা, ছক্কা এক হাজার থেকে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা, হীরা সাড়ে নয়শত থেকে এক হাজার টাকা মণ দরে বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
সরেজমিনে হাট ঘুরে আরো জানা গেছে সলঙ্গা হাট থেকে ধান পাবনার ঈশ্বরদী, চাটমোহর, কুষ্টিয়া, বগুড়ার শেরপুর, চান্দাইকোনাসহ বিভিন্ন এলাকার ধান চাতালে কিনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বনবাড়িয়া, নাইমুড়ি, আমশড়া গ্রামের কজন কৃষক বলেন, হাটে নতুন ধান এনে প্রতি মণ এক হাজার দুইশো টাকা দরে বিক্রয় করেছেন। তারা ধান কাটার মজুরদের মজুরি মেটাতে ধান বিক্রয় করলেন।