দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দেওয়া আনিকা পারভীন রুমি নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার ৫ মে রাত সাড়ে ৯টায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আনিকা ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং ফুলবাড়ী শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করছেন খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক।

আনিকার ফুফু বিলকিস বেগম ও মামি নূরেমা আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার ৪ মে বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল ১১ টায় আনিকার মা রুজিনা বেগম জমি থেকে এসে দেখেন তার উঠানে থাকা খড় ও খড়ি বৃষ্টিতে ভিজছে। তিনি আনিকাকে ডেকে বলেন, সারাদিন ফোন নিয়ে শুয়ে থাকিস, বৃষ্টিতে খড় ও খড়ি ভিজছে তুলতে পারিস না? এ নিয়ে মা-মেয়ের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে একসময় আনিকার মা রুজিনা বেগম ঘর থেকে দঁড়ি এনে বলেন এতো অশান্তির চেয়ে আমার মরে যাওয়া ভালো। এ কথা শুনে আনিকা দৌঁড়ে নিজ শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে দঁড়ি টানিয়ে ফাঁস লাগায়।

এ দৃশ্য আনিকার ছোটভাই আয়মান হাসান দেখে চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। গ্রিলের দরজা হওয়ায় প্রায় আঁধাঘণ্টার প্রচেষ্টায় দরজা ভেঙে আনিকাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আনিকাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শুক্রবার ৫ মে রাত সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়। মরদেহ আনা হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, শুনেছি আনিকা নামের একটি মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরে এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ বা মামলা করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।