পাবনায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন
- প্রকাশিত সময় ১০:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / 99
পাবনায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে। জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি যা প্রাণি থেকে মানুষে ও প্রাণিতে সংক্রামিত হতে পারে।
মূলত কুকুর দ্বারা এ রোগটি সংক্রামিত হয়। এখনও বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরের ৫৫,০০০ হাজার জন মানুষ এ রোগে মৃত্যু বরণ করে।
বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর আবিষ্কার করেছিলেন জলাতঙ্কের টিকা, যার মাধ্যমে রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই মহান বিজ্ঞানীর মৃত্যু দিবসকে স্বরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস।
জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সব্বোচ্ছ জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃত গৃহীত জাতীয় কর্মকৌশলের মাধ্যমে এই অবহেলিত রোগটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার।
২০১২ সালে বিনামূল্যে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার রোগী বেশী টিকা পেয়েছে যা ২০১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ২,৫৩,৪০৯ এ উন্নীত হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিডিসি কর্তৃক সারাদেশে প্রায় চার লক্ষ ভায়াল ভ্যাকসিন বরাদ্দের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
কুকুর/ প্রাণির আচঁড়, কামড়ের পর টিকা প্রদান করলে জলাতঙ্ক প্রাতিরোধ হয়। কিন্তু দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূল করতে হলে প্রয়োজন। কুকুরকে জলাতঙ্ক থেকে নিরাপদ করা।
কোন এলাকার শতকরা সত্তর ভাগ কুকুরকে ব্যাপক হারে টিকা দিলে ঐ এলাকার কুকুরের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরী হয়। ৩ বছরে পর পর তিন রাউন্ড টিকা দিলে কুকুর থেকে মানুষ বা কুকুর ও অন্যান্য প্রাণিতে সংক্রমনের হার শূণ্যের কোটায় নেমে আসে-যা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।
সে হিসেবে এ বছরের প্রতিপাদ্য “জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদানই মুখ্য” বক্তব্যটি বিজ্ঞান স্বীকৃত এবং খুবই বাস্তব সম্মত। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০১৯, জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদানই মুখ্য।
গতকাল পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে এক র্যালি বের হয়ে পাবনা প্রেসক্লাব এর সামনে এসে শেষ হয়।
এ র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন পাবনার বিভিন্ন লোকাল ডগ ক্যাচার পাবনা জেলার টিম লিডার মোঃ ইব্রাহিম আলী, বাবলু শেখ, ইমন, সুজন, ইমরান, ইউনুছ, নাসির, বরকত, মজিদ, মিলন, লস্কার,আনোয়ার, বিপ্লব, রমজান শাহিন সাইদুল সহ আরো অনেকে।