রাজশাহীর দামকুড়া এলাকায় চলছে রমরমা মাদক ব্যাবসা
- প্রকাশিত সময় ০৮:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
- / 278
রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানাধীন এলাকা গুলোতে চলছে রমরমা মাদকের ব্যাবসা। রাত-দিন সমান হারে চলছে মাদকের রমরমা ব্যাবসা। সোনাইকান্দি, হরিপুর, বেড়োপাড়া এসব এলাকায় মাদকের বিস্তার ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে।
এসব মাদকের সিন্ডকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মাদকের গড ফাদার লিটন ও তার চাচাতো ভাই হাবিব।
লিটনের নামে একাধিক মাদক মামলা থাকলে ও কারাগার থেকে বের হয়ে পুনরায় চালু করে মাদক কারবার।
এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনা। এতটাই ভয়ংকর তারা হাতে সব সময় হাসুয়া, চাকু আরো বিভিন্ন রকমের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিতে থাকে।
লিটন ও তার চাচাতো ভাই হাবিব এর বিষয়ে একাধিক বার এলাকাবাসী দমকুড়া থানায় অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, দামকুড়া থানা নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে। যে কারণে তারা অবাধে চলিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।
লিটন খুচরা সহ পাইকারী ব্যাবসা করে। এ মাদক ব্যাবসায় লিটনের সাথে তার মা, স্ত্রী সহ সন্তান ও জড়িত।
লিটনের বাড়ি সোনাইকান্দি বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বেড়োপাড়া এলাকায় তার পরে ও কোন ভয় ডর ছাড়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যাবসা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ দামকুড়া থানা পুলিশ কাজ হলো শুধু মাদকসেবী আর সাধারণ পথচারীদের আটকিয়ে হয়রানির করা।
গত বুধবার ১৭ মে দুপুর আড়াইটার সময় দামকুড়া থানাধীন নবগঙ্গ এলাকার এস আই শাহাদাত শেরখান নামের এক পথচারীকে আটকে রেখে দেহ তল্লাশি করে। কিন্তু তার কাছে অবৈধ কিছু না পাওয়ায় তার মানিব্যাগ চেক করে। পথচারী শেরখানের মানিব্যাগে মোটা অংকের টাকা দেখে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে আটকে রাখে।
সংবাদ সংগ্রহের কাজে কিছু সংবাদিক একই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ঐ পুলিশ আর পথচারীদের মধ্যে প্রচন্ড তর্ক দেখে ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে যায়। তারপর থেকে শুরু হয় মূল ঘটনা।
সাংবাদিকরা এসআই শাহাদাত কে জিজ্ঞাসা করে আপনি কোন আপরাধে এই নিরীহ পথচারীকে আটকে রেখেছেন। আর আপনি একা কেন আপনাদের বাকি পুলিশ কোথায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসআই শাহাদাত বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যায়। এরপর সে ভুক্তভোগী পথচারী শেরখানকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দামকুড়া থানার সেকেন্ড আফিসার এসআই আকবর জানান, সে সময় এসআই শাহাদাতের কোন ডিউটি ছিলোনা। সে থানায় রাতে ডিউটি আফিসারের দায়িত্ব পালন করছে করছে।
দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর জানান, আপনার কাছে সত্যতা থাকলে আপনি লিখেন আমার কাছে জানার দরকার নাই৷