ঈশ্বরদীতে রাস্তা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- প্রকাশিত সময় ০৫:৫২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
- / 106
ঈশ্বরদীতে রাস্তা দখল করার অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ২০ মে সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনে পৌর এলকার মশুরিয়া পাড়ার ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
এ সময় মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে রুমি খাতুন বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা আকরাম খান কেমন মুক্তিযোদ্ধা যে গ্রামবাসীর রাস্তা দখল করে রাখে। আমাদের ৪০ বছরের পুরাতন রাস্তা এটি। এ রাস্তা দিয়ে দিনমজুর, রিকশাচালক যাতায়াত করে কিন্ত দীর্ঘ ৬ বছর ধরে আমরা এ রাস্তা নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।
সে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে নিরীহ গরিব মানুষের রাস্তা দখল করে রাখে। আকরাম আলী খান মুক্তিযোদ্ধার ক্ষমতাবলে নানা রকমভাবে হয়রানি ও রাস্তা দখলের পাঁয়তারা করে চলেছে।
আমরা মাননীয় এমপির কাছে, চেয়ারম্যান এর কাছে, মেম্বার এর কাছে গিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ক্ষমতাবিলে প্রশাসন পাঠিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে দিয়েছে আর সে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এলাকাবাসীর রাস্তা দখল করে। সে মুক্তিযোদ্ধা হলে কখনো রাস্তা দখল করতে পারত না।
আকরাম খান আমাদের বলে তোমরা জায়গা ছেড়ে চলে যাও, তোমাদের জায়গা দেওয়া হবে না। এক জন মুক্তিযোদ্ধা কখনো এভাবে কথা বলতে পারে না। ১৯৬৬ সাল থেকে আমরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি। কিন্ত আজ প্রায় ১৩ বছর যাবত দখল করে আটকে রেখেছে। সে বলে আমি মুক্তিযোদ্ধা আমি খাস জমি দখল করতে পারি। শুধু কি মুক্তিযোদ্ধা খাস জমি দখল করতে পারে, রিকশা চালক দিন মজুর কি খাস জমি ব্যবহার করতে পারে না।
রাস্তার কথা বললেই সে বলে আমি কাউকে চিনি না। প্রশাসন আমার কিছুই করতে পারবে না। আকরাম খান মুক্তিযোদ্ধার ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা আকরাম খানের এমন কর্মকান্ডের সঠিক বিচার চাই। আমরা সঠিক বিচারের দাবিতে আজ মানববন্ধন করছি।”
মানববন্ধনে নুরজাহান নামের আরো এক ভুক্তভোগী বলেন, “আকরাম খানের বাড়ির পানি, বাথরুমের পানি সব আসে আমাদের বাড়ির ভিতরে। কিছু বললে ক্ষমতাবলে পুলিশ পাঠায়, নানা রকম হুমকি দেখায়, আমরা কি মানুষ না”।
উক্ত মানববন্ধনে ঐ এলাকার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী খান বলেন, আমি দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ এখানে বাড়ী করে বসবাস করে আসছি। রাস্তা দখলের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং আমি আমার জায়গা ৫ ফুট ছেড়ে রেখেছি। যা সরেজমিনে দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবেন। একটি মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রের করছে।
মানববন্ধনের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।