রেলওয়ের ৪ বস্তা অবৈধ তেলসহ ২ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা। 

রবিবার ২১ মে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঈশ্বরদী পৌরসভার উমিরপুর রেললাইনের পাশ থেকে ওই তেল চোরাকারবারিদের আটক করা হয় । 

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী আঞ্চলিক রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা শাখার উপ পরিদর্শক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেলওয়ে গোয়েন্দা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার উপ পরিদর্শক ওবায়দুর রহমান ও সহকারী উপ পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঈশ্বরদী রেললাইনের ২০৩ কি.মি. উমিরপুর এলাকায় অবস্থান করে। সেসময় লাইট ইঞ্জিন (৬৫৩২) থেকে ৪ বস্তা তেল ফেলে দেয় যার আনুমানিক ওজন ৫০ লিটার। বস্তা ৪ টি চোরাকারবারিরা নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। 

চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখল ও উদ্ধার আইন ২০১৬ (৪) ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। 

আটককৃতদের আজই বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। 

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী পৌরসভার উমিরপুর এলাকার মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫) ও তার ভাই সামিউল ইসলামের ছেলে আলিফ হোসেন (১৫)। 

অপরদিকে, ঐ সময় দর্শনা থেকে ঈশ্বরদী অভিমূখী লাইট ইঞ্জিন (৬৫৩২) টি বুঝে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ঈশ্বরদী লোকোমোটিভের উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শারেক জামান। 

লোকোমোটিভ ইনচার্জ মোঃ সারেক জামান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক অভিযোগ পাওয়ার পর আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকতাকে অবগত করি। তারা তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিবেন জানালে আমি ইঞ্জিনটি বুঝে নিইনি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

লাইট ইঞ্জিন (৬৫৩২) টি চালনা করছিলেন লোকোমোটিভ মাস্টার মোঃ তারেক আজাদ ও সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মোঃ শাহিন রেজা আরিফ। 

লোকোমোটিভ মাস্টার মোঃ তারেক আজাদ জানান, আমি দর্শনা থেকে ৪৭৯৫ লিটার তেল নিয়ে ঈশ্বরদী অভিমূখে রওনা দিই। এতে তেল খরচ হয়েছে ৮৫ লিটার। চোরাই তেল আমার ইঞ্জিনের নয়, কোন ট্রাকের হতে পারে। 

রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সূফি নুর মোহাম্মদ জানান, লাইট ইঞ্জিন (৬৫৩২)  থেকে তেল নামানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লোকোমোটিভ মাস্টার গ্রেট ২ও সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার গ্রেট ২ কে সাস্পেন্ড করা হয়েছে এবং চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের পরিচালক অসীম কুমার তালুকদার জানান, প্রথামিক পর্যায়ে লোকোমোটিভ মাস্টার গ্রেট ২ ও সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার গ্রেট ২ কে সাস্পেন্ড করা হয়েছে। তেলটি আদেও লাইট ইঞ্জিল (৬৫৩২) থেকে চুরি হয়েছে কিনা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।