পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বেপরোয়াভাবে বড়াল নদী দখল করছে ইউপি সচিব
- প্রকাশিত সময় ১১:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
- / 142
পাবনার ভাঙ্গুড়া বড়াল নদী খেকো মোতাহার হোসেন ফরিদপুর উপজেলার বৃলাড়ীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। করছেন না আইনের কোনরুপ তোয়াক্কা। ইউপি সচিবের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেপরোয়াভাবে দখল করে যাচ্ছেন বড়াল নদী।
নদী খেকো মোতাহার হোসেন পাবনার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলি পাড়ার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
সরেজমিন পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলি পাড়া বড়াল নদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৃলাড়ীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোতাহার হোসেন বড়াল নদী দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছেন। পাশেই নতুন ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বেশ খানিকটা দখল করে কয়েকজন শ্রমিক রড সিমেন্টের ভিত দিয়ে ৪টি পিলারের নিচের অংশ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে উপরের অংশের কাজ করছেন। এর আগে নদীর কিছু অংশ মাটি ফেলে ভরাট করেছেন।
নদী দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্মাণকারিরা শ্রমিক পরিচয় দিয়ে বলে এবিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
অথচ কিছুদিন পূর্বেই নদীর অপর পাড়ে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ ভবন গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার কিছুদিন পরেই নদীর এপাড়ে সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সরকারি আইন অমান্য করে অবৈধভাবে নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন।
আইন অনুযায়ী নদীর তীর থেকে ৩০ ফুটের মধ্যে কোন নির্মাণ করা নিষিদ্ধ হলেও ভাঙ্গুড়া উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের টলটলি পাড়ায় বড়াল নদী অবৈধভাবে দখল করে ইউপি সচিব মোতাহার হোসেন প্রাচীর নির্মাণ করছেন।
তাকে উপজেলা পরিষদ থেকে অবৈধভাবে নদী দখল করার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। অথচ সেসবের কোন কিছুই তোয়াক্কা করছেন না ইউপি সচিব।
অবৈধভাবে বড়াল নদী দখলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ইউপি সচিব মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আগে ইউএনও স্যারের নিষেধে কাজ কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলাম, আবার শুরু করেছি। অনেকেই তো নদী দখল করেছে তাই আমিও নদী দখল করেছি। তাতে আপনাদের কি? আপনাদের যা করার তা করেন গিয়ে।
আপনি একজন সচেতন মানুষ হয়ে কিভাবে নদী দখল করেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি অসচেতন আপনাদের কোনো সমস্যা আছে?’
এবিষয়ে চাটমোহর বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান নদী দখল করে নির্মিত ভবন অতিদ্রুত ভেঙ্গে দিয়ে দখলমুক্ত করে দখলবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, পূর্বেও তাকে নদী দখল থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। নদী দখলের কারো সুযোগ নেই। আবারো লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।