সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দূর্গম চরাঞ্চালে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ
- প্রকাশিত সময় ০৪:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
- / 181
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের দুর্গম চরএলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে মালচিং সবজি চাষাবাদ শুরু হয়েছে। সেই সাথে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে।
কৃষক পর্যায়ে এসব আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
জানা যায়,আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির অংশ হিসাবে মালচিং পেপার পদ্ধতিতে সবজি চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে শাহজাদপুর যমুনা নদীভাঙন এলাকার পোরজনা, গালা ও সোনাতনী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষক।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মাধ্যমে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে এসব আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কাজ করছে বেসরকারি এনজিও মানব মুক্তি সংস্থা (এমএমএস)।
পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ও গালা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন- তারা এতদিন গতানুগতিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে আসছিল। মানব মুক্তি সংস্থার (এমএমএস) দিকনির্দেশনায় এ বছর মালচিং পেপার পদ্ধতিতে দুই জনে প্রায় ৪০ শতক জমিতে বেগুনের চাষাবাদ করছেন।
সম্পুর্ন এই নতুন পদ্ধতিতে তারাই প্রথম বেগুনের চাষাবাদ করছেন। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে উৎপাদন খরচ কম অপরদিকে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
বর্তমানে তারা চলমান দুটি প্রকল্প থেকে ১৫ দিনে প্রায় ৩০ মন বেগুন বিক্রি করেছেন এতে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে। এভাবে মাসখানেক চলতে থাকলে ৯০ থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলে চাষীরা আশাবাদী।
এছাড়াও প্রকল্পের আরোও তিনজন কৃষক আব্দুস সামাদ, মো. হাফিজুল ও লালমিয়া মালচিং পেপার পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালীন বেবি তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এলাকায় এসব নতুন প্রযুক্তির চাষাবাদে কৃষকদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। পাশাপাশি আরও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে আগ্রহ বাড়ছে।
এ ব্যাপারে সোমবার ১২ জুন মানব মুক্তি সংস্থার (এমএমএস) কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- মালচিং পেপার পদ্ধতিতে সবজি চাষ আগাছানাশক ও বালাইনাশকের খরচ কমায়, সারের সুষম বণ্টন হয়, সেচের পানি অধিকদিন ধরে রাখে সাহায্য করে, মাটির আদ্রতা ১০-২২% ধরে রাখে,বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে ফলে একদিকে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে অধিক লাভবান হতে সাহায্য করছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখছে। তাই গ্রামের মানুষ মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষের দিকে ঝুকে পড়ছে।