মৌসুমের শুরুতেই জমে উঠেছে ভাসমান পেয়ারা বাজার
- প্রকাশিত সময় ০২:৩১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
- / 53
মৌসুমের শুরুতেই জমে উঠেছে ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারা বাজার। দক্ষিণের এই পেয়ারা রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড়। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে। নৌকায় করে জলে ভেসে ভেসে আর স্থল পথে পেয়ারা অঞ্চল ঘুরে মুগ্ধ সবাই।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভীমরুলি গ্রামের ভাসমান বাজার বসছে প্রাচীনকাল থেকেই। তবে পেয়ারার মৌসুমকে কেন্দ্র করে শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস জুড়ে এ বাজারটি জমজমাট হয়ে ওঠে।
নৌকায় করে পানিতে ভেসে ভেসে পেয়ারার বেচাকেনার অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতি বছরই ভিড় করেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অগণিত ভ্রমণ পিপাসু। গত কয়েক বছর ধরে এখনে বেড়াতে আসছেন বিদেশিরাও।
এ বছর মৌসুম শুরুতেই জমে উঠেছে পেয়ারা পর্যটন। বিশেষ করে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে ভিড় করছেন অগণিত মানুষ। কেউ পরিবার পরিজন আবার কেউবা দলবেঁধে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্ত থেকে। ভাসমান এ পেয়ারা বাজার দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই। ভীমরুলি গ্রামের ভীমরুলি খালের ওপর নৌকায় ভেসে ভেসে কাটে পর্যটকের আনন্দঘন মুহূর্ত। ছবিতে ফ্রেমেবন্দী করেন ভ্রমণের নৈসর্গিক মুহূর্তগুলো।
ঢাকার থেকে আসা কাওছার আহমেদ বলেন, ‘আমরা ৪০ জনের একটি গ্রুপ এসেছি। ভাসমান পেয়ারা বাজার দেখে সবাই মুগ্ধ। প্রতিবছরই এখানে আসব।’
খুলনা থেকে আসা সুমী আক্তার ও শামীম হোসেন দম্পতি বলেন, ‘থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেটকেও যেন হার মানিয়েছে। এটা পুরোটাই প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে। তাই ঝালকাঠির পেয়ারার ভাসমান বাজারের তুলনা আর কোনটার সাথেই হবে না।’
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে এসে যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে নিয়মিত পুলিশ টহলসহ নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৬১৫ হেক্টর জমিতে কান্দিব বা সর্জন পদ্ধতি পেয়ারা চাষ হয়েছে। শত বছর ধরেই এখানে পেয়ারা চাষ করছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে পেয়ারার ভাসমান বাজার এবং পেয়ারা চাষ অ্যাগ্রোটুরিজমে পরিণত হয়েছে। জুলাই এবং আগস্ট এই দু’মাসে ঝালকাঠির ভীমরুলির ভাসমান পেয়ারা বাজারে প্রায় তিন লাখ ভ্রমণ পিপাসুর আগমন ঘটবে বলেও আশাকরছি।’