প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ এবং সুস্থ পারিবারিক জীবন ফিরে পাওয়ার আশায় নির্যাতিত মনোয়ারা সুলতানা মনিরার সংবাদ সম্মেলন।
- প্রকাশিত সময় ০৪:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / 87
গত ২৯/৯/১৯ তারিখ বেলা ১২ ঘটিকায় পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে মনোয়ারা সুলতানা মনিরা এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৬/০৯/১৯ খ্রিঃ তারিখে বিশেষ দুই একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার পারিবারিক জীবন নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট মানহানিকর ও বিব্রতকর নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে।
আমি তার তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। সমাজের বিবেক হিসাবে পরিচিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমার আকুল আবেদন, এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের পুর্বে বিষয়গুলো জেনে বুঝে প্রকাশ করা উচিৎ।
মনোয়ারা সুলতানা বলেন, মুসলিম শরিয়াত মোতাবেক ২০০১ সালে চরকোশাখালী গ্রামে আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে ফারুকজ্জামান মালিথার সাথে আমার বিবাহ হয়।
ফারুকজ্জামান সরকারী পলিটেকনিক্যালের শিক্ষক (সিভিল)। বিবাহিত জীবনে ফারুকজ্জামানের ঔরসে ৩ (তিন)টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
প্রায় ১৭/১৮ (আঠার) বৎসর সংসার করার পরে বিগত পাঁচ বৎসর পুর্বে জানতে পারা যায়, ফারুকজ্জামান শাজাদপুর, সিরাজগঞ্জ নিবাসি নার্গিস পারভিন নামের অন্য এক মহিলার সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে।
যে মহিলার দুই সন্তান এবং স্বামী রয়েছে। এহেন অবস্থায় মনোয়ারা বেগম তার স্বামীকে এ ধরণের অসামাজিক কাজ থেকে বিরত করতে চেষ্টা করলে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়।
ফারুকজ্জামান মনোয়ারার উপর শারিরিক মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। জানা যায়, গত ২৬/০৯/১৯ খ্রিঃ তারিখে মনোয়ারার স্বামী ফারুকজ্জামান মালিথা নার্গিস পারভিনকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
নার্গিস পারভিনের পারিবারিক তৎপরতায় শাহজাদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক নার্গিস পারভিনকে উদ্ধার করলে থানায় নিজের অপরাধজনিত জবান বন্দি প্রদান করে।
শাজাদপুর থানা তাকে আটক করে সিরাজগঞ্জ কোটে চালান দেয়। সংবাদ সম্মেলনে নার্গিস পারভিন এর বোন বিউটি আক্তার অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার বোন তার নিজের স্বামী সন্তানদের দিকে তো তাকালোই না উপরন্ত সে আমাদের সম্মানের দিকেও তাকালো না।
আমরা চাই আমার বোন যেন কোনভাবেই ফারুকজ্জামান মালিথার সংসারে না যায়, অন্যায়ভাবে সংসার ভাঙ্গার জন্য, তার যেন ন্যায় বিচার হয়।
মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমি চারিদিকে আন্ধকার দেখে পাবনার পুলিশ সুপারের স্মরণাপন্ন হই এবং তার সাহায্য কামনা করি। পুলিশ সুপার মহোদয় উভয় পক্ষের অভিবাবকদের সঙ্গে নিয়ে শান্তিপুর্ণ ভাবে সমাধান করার বিষয়ে উভয় পক্ষকে পরামর্শ দেন।
অথচ জনৈক সাংবাদিক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে “তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকেই বিয়ে করতে হবে পুলিশ সুপারের নির্দেশ” শিরোনামে নিউজ দেখে আমরা স্তম্ভিত হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মনোয়ারা বেগম, প্রকাশিত ভিত্তিহিন মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ এবং তার স্বামীর অন্যায় অসামজিক কার্যকলাপের হাত থেকে তাকে এবং তার পরিবারকে রক্ষায় সহায়তা করার জন্য সকল মহলের প্রতি আকুল আবেদন জানান।