জনগণ নির্বাচন কমিশনকে সিলেকশন কমিশন বলবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, এটা শুধু নির্বাচন বৈধকরণের কমিশন। সবাই আওয়ামী লীগের দলীয় আনুগত্য হিসেবে কাজ করছে। তাই এই নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন চায় বিরোধী দলগুলো।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানীতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির জরুরি সভায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন জনগণের চোখে নির্বাচন নয়! আওয়ামী লীগ যে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সাজিয়েছে, তাতে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে নির্বাচিত করতে পারে।

জিএম কাদের প্রশ্ন রাখেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের লোক কোথায় আছে? আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করলেই স্বাধীনতার পক্ষে আর বিপক্ষে কাজ করলেই স্বাধীনতার বিপক্ষে? তারা প্রচারণা করেই এরশাদ সরকারকে স্বৈরাচার সরকার বানিয়ে ফেলেছে!

আওয়ামী লীগ দেশকে বিভাজন করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই সরকার কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেয় না!

অনেকের মধ্যে লোভ-লালসা কাজ করছে নির্বাচনে সিলেকশনের বিষয়ে। সিলেকশনের রাজনীতিতে যারা যাবে তাদের জীবন অন্ধকার। নির্বাচন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আওয়ামী লীগ। চাইলে পার্টিকে কোরবানিও করে দিতে পারে। কিন্তু আমরা আর কোরবানি হতে চাই না।

জিএম কাদের বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। অন্ধ ফকিরের কাছ থেকেও টাকা নেয় ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা। ফুটপাত দখল করেও লুটপাট করে খাচ্ছে তারা। সব জায়গায় চলছে লুটপাটের খেলা।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে এমন সরকার চাই আমরা। অবাধ নির্বাচনের জন্য যে দাঁড়াবে জাতীয় পার্টি তাকে সমর্থন করবে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় সাধারণ মানুষ। মানুষ ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে গেছে। সমাবেশ করার জন্য শত শত কোটি টাকা খরচ করছে দলগুলো, এত টাকা কোথা থেকে আসে?

তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলই বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা মানুষের স্বার্থে কাজ করে না। জাতীয় পার্টি জনগণের জন্য কাজ করে।