ফুটবল বিশ্বকাপে পোয়াবারো কাতার এয়ারওয়েজের
- প্রকাশিত সময় ০৪:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
- / 54
করোনা মহামারির প্রভাব কমে আসায় মানুষের বিদেশ ভ্রমণের চাহিদা বেড়েছে। এতে চলতি বছর আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো ভালো মুনাফা করছে। তবে বিশ্বকাপ ফুটবল কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ায় গত অর্থবছরে কাতার এয়ারলাইনস ১২০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বকাপ ফুটবলের কারণে বিপুল ব্যবসা করেছে কাতার এয়ারলাইনস। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ১২০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে। মূলত ফুটবল বিশ্বকাপের কারণে এতটা মুনাফা হয়েছে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনেক জল্পনা ও সমালোচনা ছিল। বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ১৪ লাখ মানুষকে কাতারে নিয়ে আসতে ১ লাখ ৪০ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।
কাতার এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকবর আল বাকের বলেন, ‘গত বছর আমাদের যাত্রী পরিবহন বাবদ রাজস্ব ১০০ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় মুনাফা বেড়েছে। লাখ লাখ মানুষের পছন্দের বিমান সংস্থা হিসেবে আমরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি। ওই বছর আমরা ৩ কোটি ১৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছি; আগের বছরের চেয়ে যা ৭১ শতাংশ বেশি।’
ফুটবল বিশ্বকাপে কাতার এয়ারলাইনসের এ সাফল্যের কারণে ২০২৪ সালের অলিম্পিকের সুবাদে এয়ার ফ্রান্সও উপকৃত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এয়ারফ্রান্সের প্রধান নির্বাহী বেঞ্জামিন স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিমানবন্দরগুলোর পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। মূলত ২০২৪ সালে ফ্রান্সে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস হবে, তার প্রস্তুতি হিসেবেই এসব হচ্ছে। এয়ার ফ্রান্স এই প্রতিযোগিতার অফিশিয়াল পার্টনার।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপের (আইএজি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে সিএনএন আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটি ১৪০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে, এই গ্রুপ বা গোষ্ঠীতে আছে আয়ের লিঙ্গাস ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
আইএজির প্রধান নির্বাহী লুইস গালেগো বলেছেন, গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলোর শক্তিশালী যাত্রী চাহিদা রয়েছে। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রায় ৮০ শতাংশ আসন এরই মধ্যে সংরক্ষিত হয়ে গেছে। গ্রীষ্মের এই ব্যস্ত সময়ে বিমান পরিচালনা নিশ্চিত করতে বিমান সংস্থাগুলো যথাযথ পরিকল্পনা করেছে।
এ ছাড়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিমান সংস্থাগুলো মহামারির আগের পর্যায়ে ফিরতে চান বলে জানান লুইস গালেগো।
আর এয়ারফ্রান্স-কেএলএম গ্রুপ জানিয়েছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার।