অস্তিত্ব রক্ষার সময়ে নেতৃত্ব সংকট, কোন পথে বিএনপি?
- প্রকাশিত সময় ১২:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
- / 66
সহিংসতা করেই জনসমর্থন হারাচ্ছে বিএনপি – এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ভোটে না এলে বিপন্ন হবে দলটির অস্তিত্ব। নিজ কর্মীদের কাছেই জবাবদিহি করতে হবে নেতাদের। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যোগ্য নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতার অভাবেই সহিংসতায় জড়াচ্ছে বিএনপি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বেশকিছু দাবিতে বছর দুয়েক ধরেই রাজপথে আন্দোলন করছে বিএনপি। কিন্তু এর মধ্যে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি আর দাবি পরিবর্তন হয়েছে কয়েক দফা। সবশেষ সরকার পতনের একদফা দাবিতে আন্দোলন করছে তারা।
এতোদিন অহিংস ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলেও হঠাৎ করেই তাদের আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায়। গত ২৮ জুলাই মহাসমাবেশ থেকে ঢাকার সব প্রবেশমুখে অবরোধ কর্মসূচি থেকে তাদের আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায়। এতে যানবাহন ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ সংঘাত-সহিংসতার ঘটনাও ঘটে বিভিন্ন জায়গায়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি আরও জনসমর্থন হারাবে। সম্প্রতি কানাডার আদালত বিএনপিকে পঞ্চমবারের মতো সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করায় নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া দলটির সামনে কোন বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, মানুষের ওপর নির্যাতনসহ তারা যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তাতে স্পষ্ট বিএনপি দেশের পক্ষে, জনগণের পক্ষের কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। সম্প্রতি কানাডার আদালত বিএনপিকে পঞ্চমবারের মতো সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেও চিহ্নিত করেছে। এ দুটি একসাথে মিলালে দেখা যায়, বিএনপির অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে। তাদের কোন জনসমর্থন নেই। ফলে নির্বাচনে জয়লাভের ন্যূনতম সম্ভাবনাও নেই।
এদিকে, যোগ্য নেতৃত্ব সংকটের কারণেই বিএনপির আন্দোলন সফল হচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড.আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, বর্ত মানে যারা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের সাংগঠনিক প্রজ্ঞা আর দক্ষতা শূন্যের কোঠায়। আর এ জন্যই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিবর্তে সহিংসতায় জড়াচ্ছে বিএনপি।
এ অবস্থায় আদালত, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মেনে দলটিকে রাজনীতি করার পরামর্শ তার।