এভিয়েশন খাতের চিত্রই পাল্টে দেবে যেসব সুবিধা!
- প্রকাশিত সময় ১২:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
- / 41
এভিয়েশন খাতের চিত্রই পাল্টে দেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল। উন্নত দেশের মতো যাত্রীদের জন্য সব পয়েন্টে থাকবে অটোমেশন সুবিধা। আর জাপানিজরা এর পরিচালনার দায়িত্বে আসলে এয়ারলাইন্সগুলোর আস্থা বাড়ার, পাশাপাশি ট্রানজিট হিসেবে এর ব্যবহারও বাড়বে।
বর্তমানে বিমানবন্দরটির টার্মিনালের ভেতরে ঢোকার সময় থেকেই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের। তাছাড়া এর ভেতরের সব কার্যক্রমও ম্যানুয়ালি সামাল দিতে হয় এটি ব্যবহারকারীদের।
তবে সেদিন আর বেশি দূরে নয়। বিদ্যমান এনালগ সব ব্যবস্থার সমাপ্তি ঘটবে শিগগিরই। জোরেশোরেই চলছে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তিসহ দেশের সবচে দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণযজ্ঞ। সার্বিক সক্ষমতা ছাড়াও নানান সুযোগ-সুবিধা থাকায় এতে থাকবে না যাত্রী ভোগান্তি। পাসপোর্ট চেকিং থেকে শুরু করে লাগেজ বা সব ধরনের ব্যাগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা শেষে সরাসরি বিমানে চলে যাওয়ার জন্য থাকছে অটোমেশন ব্যবস্থা।
নতুন এ টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য থাকছে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপার্চার ও ৬৪ অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন ও ১১টি বডি স্ক্যানার। চেকিং থেকে শুরু করে যাত্রীদের ব্যাগ সরাসরি স্ক্যান হয়ে সয়ংক্রিয়ভাবে বিমানে পৌঁছে যাবে বলে জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
এদিকে, তৃতীয় এ টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব জাপান বিমানবন্দরকে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, জাপানিজরা দায়িত্ব নিলে আস্থা বাড়বে এয়ারলাইন্সগুলোর।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, বিশ্বজুড়ে জাপানি কাজের প্রতি মানুষ আস্থাবান। যাত্রীদের পাশাপাশি অন্যান্য নামি-দামি বিমান পরিষেবা সংস্থা যখন দেখবে এখানে জাপানি সংস্থা কাজ করছে, তখন তারা উন্নত সার্ভিস পেতে তাদের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াবে। চিন্তা করবে তারা এটাকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। এতে সবাই লাভবান হবে।
সর্বাধুনিক সেবা নিশ্চিতে জাইকার অর্থায়নে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে এ বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল। এর আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এ টার্মিনাল ব্যবহারের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।