ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

হৃদয় নিঙড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় পান্না কায়সারকে বিদায়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / 43

হৃদয় নিঙড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানানো হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী, লেখক, সাহিত্যিক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারকে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ। এসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও প্রজন্ম গড়ে তুলতে শহীদ জায়া পান্না কায়সারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন বিশিষ্টজনরা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে।

একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের অন্যতম এক সৈনিক পান্না কায়সার। তাইতো তার মৃত্যুতে এতো মানুষের ঢল। যাদের প্রত্যেকেই এক একজন যোদ্ধা। এক একজন দেশপ্রেমিক।


রোববার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় শহীদ জায়া পান্না কায়সারের মরদেহ। এসময় ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। মানুষের সেই ঢলে ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরাও। অশ্রুসিক্ত নয়ন আর ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানান তাকে।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিশিষ্টজনরা দেশের প্রতি পান্না কায়সারের একনিষ্ঠ ভালোবাসা তুলে ধরেন। বলেন, তাঁর বিদায়ে নিভে গেলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার আরেকটি নিষ্কম্প মশাল।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে জানাজায় অংশ নেন অনেকে। কামনা করেন রুহের মাগফিরাত।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।


১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় জন্ম নেয়া পান্না কায়সারের বিয়ে হয় ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি বাহিনীর স্থানীয় সহযোগী আলবদর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তাঁর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।

এই রকম আরও টপিক

হৃদয় নিঙড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় পান্না কায়সারকে বিদায়

প্রকাশিত সময় ০২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

হৃদয় নিঙড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানানো হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী, লেখক, সাহিত্যিক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারকে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ। এসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও প্রজন্ম গড়ে তুলতে শহীদ জায়া পান্না কায়সারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন বিশিষ্টজনরা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে।

একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের অন্যতম এক সৈনিক পান্না কায়সার। তাইতো তার মৃত্যুতে এতো মানুষের ঢল। যাদের প্রত্যেকেই এক একজন যোদ্ধা। এক একজন দেশপ্রেমিক।


রোববার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় শহীদ জায়া পান্না কায়সারের মরদেহ। এসময় ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। মানুষের সেই ঢলে ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরাও। অশ্রুসিক্ত নয়ন আর ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানান তাকে।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিশিষ্টজনরা দেশের প্রতি পান্না কায়সারের একনিষ্ঠ ভালোবাসা তুলে ধরেন। বলেন, তাঁর বিদায়ে নিভে গেলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার আরেকটি নিষ্কম্প মশাল।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে জানাজায় অংশ নেন অনেকে। কামনা করেন রুহের মাগফিরাত।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।


১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় জন্ম নেয়া পান্না কায়সারের বিয়ে হয় ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি বাহিনীর স্থানীয় সহযোগী আলবদর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তাঁর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।