ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবেন কৃষকরা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / 110

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে

রোববার (৬ আগস্ট) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই নীতিমালা ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ. কে. এম. সাজেদুর রহমান খান।

তিনি বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি ও সুস্বাস্থ্য অর্জনে এই নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা আগের বছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

চলতি বছর রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের জন্য ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য ২২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান সাজেদুর রহমান।

আর নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণের হার লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণের নীতিগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি গভর্নর। তিনি বলেন, মৎস্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ এবং প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, যারা সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে কৃষিঋণ দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সারওয়ার হোসেন বলেন, যারা এটি করবে না, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও যদিও কেউ ঋণ বিতরণ করে, তাহলে সেই ব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রা ও ঘাটতি বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভলপমেন্ট কমন ফান্ডে জমা দিতে বলা হয়েছে। এটিও তাদের জন্য শাস্তি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে। এসময়ে মোট ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫ জন গ্রাহক কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৩ নারী প্রায় ১২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।

এছাড়াও গত অর্থবছরে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৩ হাজার ৪৪৯ জন কৃষক প্রায় ১৮ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবেন কৃষকরা

প্রকাশিত সময় ০৩:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে

রোববার (৬ আগস্ট) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই নীতিমালা ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ. কে. এম. সাজেদুর রহমান খান।

তিনি বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি ও সুস্বাস্থ্য অর্জনে এই নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা আগের বছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

চলতি বছর রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের জন্য ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য ২২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান সাজেদুর রহমান।

আর নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণের হার লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণের নীতিগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি গভর্নর। তিনি বলেন, মৎস্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ এবং প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, যারা সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে কৃষিঋণ দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সারওয়ার হোসেন বলেন, যারা এটি করবে না, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও যদিও কেউ ঋণ বিতরণ করে, তাহলে সেই ব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রা ও ঘাটতি বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভলপমেন্ট কমন ফান্ডে জমা দিতে বলা হয়েছে। এটিও তাদের জন্য শাস্তি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে। এসময়ে মোট ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫ জন গ্রাহক কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৩ নারী প্রায় ১২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।

এছাড়াও গত অর্থবছরে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৩ হাজার ৪৪৯ জন কৃষক প্রায় ১৮ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।