আবারও ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে জ্বালানি তেল চুরি ! চালক বরখাস্ত
- প্রকাশিত সময় ০৩:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
- / 180
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি এবার রহনপুর-রাজশাহী -ঈশ্বরদী রেলপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী আন্তঃনগর “কমিউটার এক্সপ্রেস” নামক ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে ৪৫ লিটার জ্বালানি তেল ডিজেল চুরি করে বিক্রয়ের ঘটনায় একজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।ঘটনাটি তদন্তের জন্য পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) হারুন-অর রশীদকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর আটক হয়েছেন ট্রেনের জ্বালানি তেল চোর চক্রের রোকনুজ্জামান রোকন (৪৫) নামের এক সদস্য।সোমবার (৭আগষ্ট) সকালে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৭) ওই ট্রেনের পাওয়ার কারের ড্রাইভার (ইলেকট্রিক ফিটার) ছিলেন। তিনি গুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাকনী গ্রামের মৃত তাহের সরদারের ছেলে। আটক রোকন নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার বিরোপাড়া গ্রামের মৃত আকিমুদ্দিনের ছেলে।তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্যরা হলেন, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারী কমান্ড্যান্ট আরিফুল ইসলাম আরিফ, রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী এ,কে, এম সালেহ আকরাম। এর আগে গত রোববার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী স্টেশনে আসছিল। ট্রেনটি আজিমনগর স্টেশনে পৌছালে ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে চুরি করা ৪৫ লিটার জ্বালানি তেল ডিজেল বোতলে ভরে পাচারকারী রোকনুজ্জামান রোকন (৪৫) হাতে দেয়। এই সময় ট্রেনে থাকা রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার সাদা পোশাকে থাকা সদস্যরা হাতে নাতে দু্জনকে আটক করে। চুরি হওয়া তেল জব্দ করেন।এ ঘটনায় ওই রাতেই (১০ টার দিকে) রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় দফতরের বৈদ্যুতিক কার্যালয় থেকে তার বার্তার মাধ্যমে পাওয়ার কারের চালককে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুজ্জামান রোমেল জানান, ঘটনার দিন রাতে কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদী স্টেশনে আসতে ছিল। পথেমধ্যে ট্রেনটির ৫৪১৮ নং পাওয়ার কার থেকে জ্বালানি ৪৫ লিটার ডিজেল তেল চুরি করে বিক্রির সময় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী রাজশাহীর গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা পাওয়ার কারের চালকসহ ক্রেতাকে হাতেনাতে আটক করে । এ ব্যাপারে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার এক সদস্য বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগেও ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন সংলগ্ন পাতিবিল এলাকায় ট্রেনের ইঞ্জিন থামিয়ে দুই চালক ট্রেনের জ্বালানি তেল ডিজেল বিক্রয়কালে তেল চোর চক্রের দুই সদস্যসহ দুই চালককে আটক করেছিল রেলওয়ের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। ওই সময় বেশ হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। এরপর চালক, তদন্ত কমিটি, রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ পরস্পরের যোগসাজছে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়। এর কয়েকমাস পরই আবার তেল চুরির ঘটনা ঘটলো।