ওয়ানডেতে কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষভাবে বলতে গেলে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। যার প্রমাণ পরিসংখ্যান। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে ভারতের পরই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।

২০১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। রোমাঞ্চকর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারায় ইংলিশরা। এরপর থেকে পরিসংখ্যান ধরলে দেখা যায়, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ; অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডদের থেকেও এগিয়ে জয়ের দিক থেকে। বাংলাদেশের ওপরে আছে শুধুই ভারত।

২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৫ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে ২৭ জয়ের বিপরীতে সাকিব-মুশফিকরা হেরেছে ১৬ ম্যাচ। বাকি দুই ম্যাচের ফল হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলায় বেশি জয়ও রয়েছে ভারতের। শীর্ষে থাকা ভারত এ সময় ৫৭টি ম্যাচ খেলেছে। যেখানে ৩৪ জয়ের বিপরীতে হেরেছেন ২০টি। ভারতের ৩ ম্যাচের ফল হয়নি।

ভারত, বাংলাদেশের পরেই আছে শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রটি এ সময় ম্যাচ খেলেছে ৫০টি। এর মধ্যে ২৬ ম্যাচে জয় পেয়েছে দাসুন শানাকা-ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা। হেরেছে ২২ ম্যাচে। ২টির ফল হয়নি। চারে আছে এবারের বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ৬০ ম্যাচে ২৪ জয় পেয়েছে। ৩৪ ম্যাচে হেরেছেন নিকোলাস পুরান-জেসন হোল্ডাররা। ১ টাইয়ের বিপরীতে ১ ম্যাচের ফল হয়নি।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচে আছে। স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা সীমিত সংস্করণের ম্যাচ কম খেলেছেন। ৩৬ ম্যাচে তাদের জয় ২১টিতে। ১৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছে অজিরা। সমান ম্যাচের মতো সমান ২১ জয় পেয়েছে কিউইরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কম ম্যাচ হেরেছে তারা। ১৩ হারের বিপরীতে ২ ম্যাচের ফল হয়নি। 

এরপরে যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। বর্তমান ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ড এই চার বছরে খেলেছে ৩৬ ম্যাচ, যেখানে তাদের জয় ১৮টি ম্যাচে।