বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ মাহফুজা আক্তার কিরণের বিরুদ্ধে
- প্রকাশিত সময় ০২:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
- / 103
অবৈধ অর্থ অর্জন, বিদেশে অর্থ পাচার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করতে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের কর্মকর্তারা। তবে আনীত অভিযোগ নাকচ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। ফেরাডেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই দুদকের কাছে মিথ্যে অভিযোগ করেছে একটি প্রতিষ্ঠান–এমন দাবি বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যানের।
ফিফার আনা অভিযোগ কিংবা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশে দুদকের তদন্ত, কোথাও নেই বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের নাম। তারপরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয় তাকে।
বাফুফের অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে মাহফুজা আক্তার কিরণের বিরুদ্ধে দুদকে নালিশ করে বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব। বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন কিরণ–এমন অভিযোগ তুলেছেন ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক। যদিও অভিযোগনামায় অনেক তথ্যই ছিল ভুল।
বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ আর মনিরুজ্জামান ফোনে বলেন, ‘আমরা তো ওনার বিরুদ্ধে ২০২১ সাল থেকে লিখছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখেছি। আমরা এএফসির কাছে কমপ্লেইন করেছি। ওনার কারণে ছোটন চলে গেছেন। ওনার কারণে আঁখিও চলে গেছে। কারণ ওনার আচরণ। আমরা দুদকে দেব উনি কোথায় কোথায় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। খেলোয়াড়দের কত টাকা দেয়ার কথা ছিল, কত টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’
বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাবের অভিযোগের ভিত্তিতে মাহফুজা আক্তার কিরণকে কার্যালয়ে ডাকে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেখানে তাকে প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে বাফুফে ভবনে, সংবাদ সম্মেলনে সব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মাহফুজা আক্তার কিরণ।
বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এটা শুধু হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে। দুদককে আমি বলেছি, আপনারা আমাকে ডেকেছেন আমি এসেছি। আপনাদের সম্মানে আমি এসেছি, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার দিক থেকে যত কাগজপত্র আছে সব দিয়ে এসেছি। এবং আমার যা সম্পত্তি আছে, ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে নথিবদ্ধ করা আছে। আমার ইনকাম ট্যাক্স ফাইল দুই বছর ধরে দুদকেই আছে।’
তদন্তকাজে দুদককে সাহায্য করার কথাও জানিয়েছেন কিরণ, তবে যারা অভিযোগ এনেছে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমি দুদককে বলে এসেছি, আপনাদের যদি তদন্তের জন্য এর পরের ফাইলও দরকার হয় আমি সেটাও দেব। দুদককে বলে এসেছি, দয়া করে আপনারা তদন্ত শুরু করুন। যখন আপনারা প্রমাণ পাবেন এটা মিথ্যা, তখন আপনারা এটা মিডিয়াকে জানিয়ে দেবেন। অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে এখনও আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিইনি। ভবিষ্যতে দেখব।’
এর আগে দুর্নীতির দায়ে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীসহ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।