ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দিনে ৪ হাজার ধাপ হাঁটলেই কমবে মৃত্যুঝুঁকি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 140

সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে কে-না চায়? তবে সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপনের জন্য বেশকিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তার মধ্যে অন্যতম নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস। সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, প্রতিদিন চার হাজার ধাপ হাঁটলেই সুস্থ থাকবেন একজন মানুষ। এতে কমে যাবে তার মৃত্যুঝুঁকিও।

ইউরোপিয়ার জার্নাল অব প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজির এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন ২৩৩৭ ধাপ হাঁটা কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেয়। আর যদি কেউ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৯৬৭ ধাপ হাঁটেন, তাহলে যেকোনো রোগেই মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়।

এ নিয়ে বিশ্বে ১৭টি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৮৮৯ জন। গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটার পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে স্বাস্থ্যের সুবিধা বাড়ে। প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার পদক্ষেপে কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা হ্রাস পায়।

পোল্যান্ডের মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব লডজের গবেষক এবং ম্যাকিয়েজ বানাচের নেতৃত্বে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ প্রতিরোধের প্রতিষ্ঠান সিকারোন সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, কোনো ব্যক্তি ২০ হাজার ধাপ হাঁটলে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

ম্যাকিয়েজ বানাচ বলেন, ‘আমাদের গবেষণাটি নিশ্চিত করে যে মানুষ যত বেশি হাঁটবে, তার জন্য ততই ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি নারী, পুরুষ, বয়স নির্বিশেষে এটি সবার জন্য প্রযোজ্য।আপনি বিশ্বের নাতিশীতোষ্ণ, উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপ-মেরু অঞ্চলে বা মিশ্র জলবায়ুর মিশ্রণ যেকোনো অঞ্চলেই বাস করেন-না কেন, এই গবেষণার ফল সবার জন্যই সমান। কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে দিনে  ৪ হাজরের মতো পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

বিভিন্ন তথ্য থেকে দেখা গেছে, অলস জীবনযাপন কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং আয়ু কমাতে পারে। সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়ামের সঙ্গে যুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যাই বেশি এবং ধনী দেশগুলোর মানুষ উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় কম শারীরিক পরিশ্রম করেন। অলসতা এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণে বিভিন্ন রোগে প্রতিবছর ৩২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

এই রকম আরও টপিক

দিনে ৪ হাজার ধাপ হাঁটলেই কমবে মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশিত সময় ০২:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে কে-না চায়? তবে সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপনের জন্য বেশকিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তার মধ্যে অন্যতম নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস। সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, প্রতিদিন চার হাজার ধাপ হাঁটলেই সুস্থ থাকবেন একজন মানুষ। এতে কমে যাবে তার মৃত্যুঝুঁকিও।

ইউরোপিয়ার জার্নাল অব প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজির এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন ২৩৩৭ ধাপ হাঁটা কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেয়। আর যদি কেউ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৯৬৭ ধাপ হাঁটেন, তাহলে যেকোনো রোগেই মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়।

এ নিয়ে বিশ্বে ১৭টি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৮৮৯ জন। গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটার পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে স্বাস্থ্যের সুবিধা বাড়ে। প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার পদক্ষেপে কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা হ্রাস পায়।

পোল্যান্ডের মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব লডজের গবেষক এবং ম্যাকিয়েজ বানাচের নেতৃত্বে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ প্রতিরোধের প্রতিষ্ঠান সিকারোন সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, কোনো ব্যক্তি ২০ হাজার ধাপ হাঁটলে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

ম্যাকিয়েজ বানাচ বলেন, ‘আমাদের গবেষণাটি নিশ্চিত করে যে মানুষ যত বেশি হাঁটবে, তার জন্য ততই ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি নারী, পুরুষ, বয়স নির্বিশেষে এটি সবার জন্য প্রযোজ্য।আপনি বিশ্বের নাতিশীতোষ্ণ, উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপ-মেরু অঞ্চলে বা মিশ্র জলবায়ুর মিশ্রণ যেকোনো অঞ্চলেই বাস করেন-না কেন, এই গবেষণার ফল সবার জন্যই সমান। কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে দিনে  ৪ হাজরের মতো পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

বিভিন্ন তথ্য থেকে দেখা গেছে, অলস জীবনযাপন কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং আয়ু কমাতে পারে। সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়ামের সঙ্গে যুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যাই বেশি এবং ধনী দেশগুলোর মানুষ উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় কম শারীরিক পরিশ্রম করেন। অলসতা এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণে বিভিন্ন রোগে প্রতিবছর ৩২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।