ডিম বিক্রির প্রতিটি ধাপে পাকা রশিদ রাখার নির্দেশ
- প্রকাশিত সময় ০২:৪২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
- / 185
খামার থেকে শুরু করে ডিম বিক্রির প্রতিটি ধাপে পাকা রশিদ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট, ডিলার ও খুচরা-পাইকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। এ সময় এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
সপ্তাহখানেক ধরে অস্থির ডিমের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে এক ডজন ডিমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ঠেকেছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। এতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠার অবস্থা।
এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে আগস্ট মাসের টিসিবির সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে আমদানিসহ ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে তার মন্ত্রণালয় কাজ করবে। তবে এজন্য সবার আগে ঠিক করে দিতে হবে কত হওয়া উচিত ডিমের বাজার মূল্য।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, দাম নির্ধারণ করে দিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে অস্থির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমনকি তারা সুপারিশ করলে নেয়া হবে আমদানির উদ্যোগও।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, ডিমের যৌক্তিক বাজার মূল্য কতো হওয়া উচিত, তা কখনই জানায় না প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রতিটি ডিম ১২ টাকা দরে, ডিমের হালি ৪৮ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। ব্যবসায়ীদের এটি স্পষ্ট জানানো হয়েছে। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ হলে ১২ টাকায় বিক্রি হলে উৎপাদকরা অনেক লাভ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত মুনাফা করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ব্যবস্থা নেবে। কেউ অন্যায্য লাভ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করা গেলে ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই বলেও জানান মন্ত্রী।