ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সানজীদা-শাপলা ‘জঙ্গি’ জেনে হতবাক স্বজনরা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 109

মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার সানজীদার বাড়ি বগুড়া এবং শাপলা খাতুন পাবনার। জঙ্গি আস্তানায় তাদের গ্রেফতারের খবরে হতবাক হয়েছেন স্বজনরা। এলাকা থেকে নিখোঁজ হবার পরই জঙ্গি সংগঠনে তাদের জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন তারা।

স্বজনরা জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নিজবলাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে একটি টিনের ঘরে থাকতেন সানজিদা খাতুন। দু’বছরও হয়নি বিয়ের। স্বামী রাশেদুল ইসলাম মাসে দু’তিন বার আসতেন বাড়িতে। গত ১২ দিন আগে কর্মস্থল নওগাঁয় ভাড়া বাসায় ওঠার কথা বলে ওই দম্পতি বাড়ি ছাড়েন বলে জানান তারা।


শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার জঙ্গি আস্তানা থেকে সানজিদাকে আটকের খবর শুনে হতবাক সানজিদার জা, দাদি শাশুড়ি ও দেবর।

তারা জানান, সানজিদা বগুড়ার শিশু পরিবারে ছিল। অনেক মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের সে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।

বগুড়া সরকারি শিশু পরিবারের উপতত্ত্বাবধায়ক রীপা মোনালিসা বলেন, সানজিদার আচরণ অন্য মেয়েদের থেকে অনেক ভালো। তার মধ্যে কোনো ধরণের অস্বাভাবিকতা ছিল না। কোনোভাবেই তার মধ্যে জঙ্গিবাদী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি।


২০১৬ সালে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রাশেদুল কারাগারে ছিলেন বলে জানান বগুড়ার সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নুরুন্নবী মণ্ডল।


তিনি বলেন, সানজিদার স্বামী রাশেদ কোনো একটা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি চার বছরের সাজাও ভোগ করেছেন।  

অন্যদিকে, পাবনার আটঘরিয়া শ্রীপুর গ্রামের দরিদ্র মাহাতাব হোসেন ও তার স্ত্রী শাপলা খাতুনের গতিবিধি কখনও সন্দেহজনক মনে হয়নি এলাকাবাসীর কাছে। ভ্যান চালিয়ে ও কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন মাহাতাব। তবে ১৫ দিন আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে উধাও হন তিনি। তারপর আর খোঁজ মেলেনি তাদের।

পাবনার আটঘরিয়ার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জালাল প্রামাণিক বলেন, শাপলা খাতুন ও মাহাতাবের পরিবার সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো জামায়াতের রাজনীতিতে। বছর দুয়েক আগে কক্সবাজারে জঙ্গি সন্দেহে আটকের অভিযোগও রয়েছে মাহাতাবের বিরুদ্ধে।


পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, যেখানে তাদের তল্লাশি করার দরকার সেটা করেছি। আমরা গোয়েন্দা নজরদারি রাখছি।


শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। যার মধ্যে ছিলেন সানজিদা খাতুন ও দুই শিশু সন্তানসহ শাপলা খাতুন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রাশেদুল ও মাহাতাব।

এই রকম আরও টপিক

সানজীদা-শাপলা ‘জঙ্গি’ জেনে হতবাক স্বজনরা

প্রকাশিত সময় ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার সানজীদার বাড়ি বগুড়া এবং শাপলা খাতুন পাবনার। জঙ্গি আস্তানায় তাদের গ্রেফতারের খবরে হতবাক হয়েছেন স্বজনরা। এলাকা থেকে নিখোঁজ হবার পরই জঙ্গি সংগঠনে তাদের জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন তারা।

স্বজনরা জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নিজবলাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে একটি টিনের ঘরে থাকতেন সানজিদা খাতুন। দু’বছরও হয়নি বিয়ের। স্বামী রাশেদুল ইসলাম মাসে দু’তিন বার আসতেন বাড়িতে। গত ১২ দিন আগে কর্মস্থল নওগাঁয় ভাড়া বাসায় ওঠার কথা বলে ওই দম্পতি বাড়ি ছাড়েন বলে জানান তারা।


শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার জঙ্গি আস্তানা থেকে সানজিদাকে আটকের খবর শুনে হতবাক সানজিদার জা, দাদি শাশুড়ি ও দেবর।

তারা জানান, সানজিদা বগুড়ার শিশু পরিবারে ছিল। অনেক মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের সে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।

বগুড়া সরকারি শিশু পরিবারের উপতত্ত্বাবধায়ক রীপা মোনালিসা বলেন, সানজিদার আচরণ অন্য মেয়েদের থেকে অনেক ভালো। তার মধ্যে কোনো ধরণের অস্বাভাবিকতা ছিল না। কোনোভাবেই তার মধ্যে জঙ্গিবাদী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি।


২০১৬ সালে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রাশেদুল কারাগারে ছিলেন বলে জানান বগুড়ার সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নুরুন্নবী মণ্ডল।


তিনি বলেন, সানজিদার স্বামী রাশেদ কোনো একটা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি চার বছরের সাজাও ভোগ করেছেন।  

অন্যদিকে, পাবনার আটঘরিয়া শ্রীপুর গ্রামের দরিদ্র মাহাতাব হোসেন ও তার স্ত্রী শাপলা খাতুনের গতিবিধি কখনও সন্দেহজনক মনে হয়নি এলাকাবাসীর কাছে। ভ্যান চালিয়ে ও কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন মাহাতাব। তবে ১৫ দিন আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে উধাও হন তিনি। তারপর আর খোঁজ মেলেনি তাদের।

পাবনার আটঘরিয়ার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জালাল প্রামাণিক বলেন, শাপলা খাতুন ও মাহাতাবের পরিবার সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো জামায়াতের রাজনীতিতে। বছর দুয়েক আগে কক্সবাজারে জঙ্গি সন্দেহে আটকের অভিযোগও রয়েছে মাহাতাবের বিরুদ্ধে।


পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, যেখানে তাদের তল্লাশি করার দরকার সেটা করেছি। আমরা গোয়েন্দা নজরদারি রাখছি।


শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। যার মধ্যে ছিলেন সানজিদা খাতুন ও দুই শিশু সন্তানসহ শাপলা খাতুন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রাশেদুল ও মাহাতাব।