মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিনামুল্যে কয়েকশত সুচিকিৎসা বঞ্চিত পরিবারকে ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর সলিমপুরের মানিকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে এই স্বাস্থ্য সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।

জাহানারা বেগম ও এমএ হাই মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্বোধন করেন ঢাকা শেরে বাংলা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজস এন্ড ইউরোলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহানারা বেগম ও এমএ হাই মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. ফয়সাল ইসলাম।

জাহানারা বেগম ও এমএ হাই মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন সুত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান ডা. ফয়সাল ইসলামের বাড়ি ঈশ্বরদীর মানিকনগর গ্রামে। গ্রামের সাধারণ মানুষ সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। তাই মহান শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ডা. ফয়সালের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আসা গাইনী, মেডিসিন, সার্জারি, দন্ত, নাক-কান-গলা, শিশু বিশেষজ্ঞের ২০ সদস্যের একটি মেডিকেল দল গ্রামটিতে এসেছেন। তারা মানিকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ টি ক্যাম্পের মাধ্যমে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিনামুল্যে চিকিৎসাপত্র ও কিছু ওষুধ প্রদান করেন।

সুত্র মতে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী, বিভিন্ন ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবিকা, পল্লী চিকিৎসক, বাংলাদেশ স্কাউটস পাবনা জেলা শাখার সদস্যরা স্বাস্থ্য ক্যাম্পটিকে সহযোগিতাসহ সলিমপুর স্পোটিং ক্লাবের সদস্যদের মাধ্যমে ব্লাডগ্রুপ পরীক্ষা করেন।

মানিকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে সুচিকিৎসা বঞ্চিত মানুষরা চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ স্বতঃফূর্তভাবে সারিবদ্ধভাবে সুশৃঙ্খলভাবে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেছেন। কর্মসূচির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের অনুরোধ করা হবে।

স্বাস্থ্য ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু জানান, গ্রামের মানুষদের বিনামুল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্যোগটি মহৎ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞা প্রকাশসহ এই স্বাস্থ্য ক্যাম্পটি যেন প্রতি বছরই বিশেষ দিবসে মাঝেমধ্যেই করা হয় সেই অনুরোধ করছি।

ঢাকা শেরে বাংলা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহানারা বেগম ও এমএ হাই মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. ফয়সাল ইসলাম জানান, গ্রামের মানুষের কথা বিবেচনা করে বিগত ২০২২ সাল থেকে অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ক্যাম্প করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। মানুষ স্বতঃফুর্তভাবে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করায় আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই কারণে এবার ঢাকা ও রাজশাহীর মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ ২০জন চিকিৎসকে আনা হয়েছে।

আগামীতে চিকিৎসা পরিধি আরও বাড়ানো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ডাক্তার ফয়সাল।