নিখোঁজ বাউল শিল্পী সুবাসের ১০ দিনেও খোঁজ মেলেনি
- প্রকাশিত সময় ১০:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯
- / 111
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃদশ দিনেও খোঁজ মেলেনি পাবনার চাটমোহর থেকে নিখোঁজ বাউল শিল্পী সুবাস রোজারিও’র (৫০)। তাঁকে খোঁজ করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই দুই দফা প্রতারণার শিকার হয়েছে তাঁর পরিবার।
একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবশন করার জন্য গাজীপুরে যাবার সময় ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাটমোহর রেল স্টেশন থেকে নিখোঁজ হন সুবাস। তাঁর বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চামটা গ্রামে।
তিনি স্থানীয়ভাবে ক্ষ্যাপা বাউল হিসেবে পরিচিত। সুবাসের ভাই লুইস রোজারিও জানান, দশ দিন ধরে সুবাসের খোঁজ না পেয়ে বড়াইগ্রাম ও চাটমোহর থানায় তিনি যোগাযোগ করেন।
চাটমোহর থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন জানান, সুবাসের খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি একটি মুঠোফোন নম্বর দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
তার দেওয়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, অপরপ্রান্ত থেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলা হয়,‘সুবাস দিনাজপুর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা লাগবে।
এরপর বিকাশের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা পাঠানোর পর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। দিনাজপুর হাসপাতালে গিয়ে সুবাসের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
চাটমোহর থানার ওসি জানান, দিনাজপুর থানার এএসআই পরিচয় দিয়ে বলা হয়, সুবাসের খোঁজ পাওয়া গেছে। সে দিনাজপুর হাসপাতালে আছে। সে মোতাবেক তার পরিবারকে জানানো হয়। লোকটি যে ভুয়া ছিলো, তা বুঝতে পারিনি।
লুইস রোজারিও জানান, সুবাস নিখোঁজের একদিন পর মোবাইল ফোনে গাজীপুর থকে ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সে মোতাবেক বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
বাকি টাকা নিয়ে গাজীপুরে গিয়ে আর খোঁজ মেলেনি। প্রতারক চক্রের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
এদিকে সুবাসের নিখোঁজের বিষয়ে মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন লুইস। নিখোঁজের পর চাটমোহর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
মামলা করতে গেলে চাটমোহর থানা থেকে বলা হয় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করতে। বড়াইগ্রাম থানায় গেলে পাঠানো হয় চাটমোহর থানায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ কুমার দাস জানান, চাটমোহর থেকে নিখোঁজ হয়েছে। সুতরাং মামলা করতে হলে চাটমোহর থানাতেই করতে হবে।
আমাদের কিছু করার নেই। চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, জিডি হওয়ার পর থেকেই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সুবাসের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে।
এখানে মামলা তেমন জরুরী বিষয় নয়। কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মামলা নেওয়া যেতো। কিন্তু এখানে তা নেই।