কৃষকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে প্রায় ৯শ কলাগাছ কেটে ফেললেন ইজারাদাতা
- প্রকাশিত সময় ০৫:০৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 155
ইজারার মেয়াদ বাড়ানোর এক মাস পর চুক্তি ভঙ্গ করে টাকা ফেরত দিয়েই অবৈধভাবে কলাচাষীর অপরিপক্ক কলাসহ প্রায় ৯শ গাছ কেটে ফেলেছেন ইজারাদাতা।
সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাবনার ঈশ্বরদী সাঁড়া ৫ নং ঘাট বড় মসজিদ এলাকায় কলাগাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটে।
এতে কলাচাষী মোঃ মনি মন্ডলের লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। অপরিপক্ক কলাসহ গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাঁড়া ৫ নং ঘাট এলাকার মৃত আখের আলীর ছেলে আলী আকবার নিজে উপস্থিত থেকে চারজন শ্রমিক দিয়ে কলাগাছগুলো কেটে ফেলছেন। সে স্থানীয় বাইতুল নুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
কলাচাষী মোঃ মনি মন্ডলের ছেলে মোঃ রনি হোসেন জানান, রেলওয়ে থেকে আলী আকবারের লীজ নেওয়া দুই বিঘা জমি তার বাবা মনি মন্ডল লীজ (খাজনা) নিয়ে কলাগাছ রোপন করেন। দুই বছর পরপর তারা আলী আকবারকে খাজনার টাকা পরিশোধ করেন। তাদের লীজের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু জমিতে থাকা কয়েক হাজার কলাগাছে কলার থোর এসেছে। এজন্য নতুন করে জমির মালিক আলী আকবারকে চুক্তিমত টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু চুক্তির টাকা এক মাস পর ফেরত দিয়ে আলী আকবার জমিতে থাকা অপরিপক্ক কলাসহ প্রায় ৯শত কলাগাছ কেটে ফেলেন। এমনকি তার বাবার লাগানো কলাগাছসহ আলী আকবার অন্যের নিকট জমি খাজনা দিয়েছেন। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কলাগাছ কেটে ফেলার বিষয়ে খাজনা প্রদানকারী আলী আকবার প্রামানিক জানান, তিনি রেলওয়ের নিকট থেকে বিগত ২০ বছর আগে এক বছর মেয়াদে চুক্তিতে কয়েক একর জমি লীজ নেন। সেখান থেকে মনি মন্ডলকে দুই বিঘা জমি কলা চাষের জন্য ২-৩ বছর মেয়াদে লীজ দেন। লীজের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়ায় গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। অন্যের নিকট খাজনা না দিয়ে নিজেই সবজি চাষ করবেন বলে প্রায় প্রতিটি গাছেই থোরসহ অপরিপক্ক কলা থাকলেও গাছ কেটে ফেলতে হচ্ছে বাধ্য হচ্ছেন।
রেলওয়ে থেকে লীজ নেওয়া বেশ কিছু জমি তিনি অন্যের নিকট পজিশন হিসেবে কয়েক লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন বলেও জানান আলী আকবার।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান জানান, রেলওয়ে থেকে লীজ নিয়ে অনেকেই অন্যের নিকট উচ্চ দামে পজিশন হিসেবে বিক্রয় করার খবর আমাদের নিকট রয়েছে। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে সঠিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আলী আকবারের নামে কত বছরের জন্য কি পরিমান জমি কবে লীজ দেওয়া হয়েছে তা না দেখে বলা সম্ভব নয়।
অপরিপক্ক কলাসহ প্রায় ৯শ কলা গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে জানতে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকারের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।