আটঘরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ফলে কমেছে অবৈধভাবে মাটিকাটা
- প্রকাশিত সময় ০১:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
- / 73
গত তিন মাসে বারবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কারণে আটঘরিয়া উপজেলা ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন, মাটিকাটা ও মাটি বিক্রয়ের প্রবণতা কমে গেছে।
চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাহারুল ইসলাম। তার তৎপরতার কারণেই মার্চের শেষদিক থেকে ভেকু দিয়ে এই অবৈধ মাটিকাটা অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের গত আড়াই মাসে আটঘরিয়ায় ১৫ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২৪ টি মামলা দায়ের, ১৬ জনকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদন্ড এবং ৭ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জনকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড উভয় শাস্তি দেওয়া হয়।
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধ মাটিকাটা ও মাটি বিক্রি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, মেডিকেলে ও ডেন্টাল আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইনের ধারা এবং দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাহারুল ইসলাম ভিন্ন ভিন্ন দিনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব শাস্তি প্রদান করেন।
এছাড়াও গত ১১ মার্চ একটি মোবাইল কোর্টে ভেকু মেশিনের ব্যাটারি জব্দ করে তা নিলমে বিক্রি করা হয় বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যে মাঝপাড়া ইউনিয়নের শত শত বিঘা জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুর খননের ফলে বার্ষা ও বর্ষনের দিনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং ফসলহানি ঘটে।
এরই প্রভাবে পাশের চাঁদভা ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে মাটিকাটা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমানা করায় উপজেলার পশ্চিমদিকের মাটি ব্যবসায়ীদের মাটিকাটা অনেকাংশেই কমেছে।
তবে ক্ষমতাসীন দলের কোন কোন নেতার সমর্থক মাটি খোররা তাদের কৌশল বদলিয়ে ইদানিং উপজেলার পূর্ব দিকের প্রত্যন্ত এলাকা লক্ষীপুর ইউনিয়নকে বেছে নিয়ে মাটি কাটার মহৎসব চালাচ্ছে বলে লক্ষীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম অভিযোগ করেন।
তার অভিযোগ এসব মাটি ব্যবসায়ীরা যে হারে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি শুরু করেছে তা বন্ধ না হলে আবাদি জমির অভাবে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
অপরদিকে খননকৃত পুকুরের আশেপাশে স্বল্প জমির মালিকেরাও আবাদ করতে না পেরে নামমাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।