ঈশ্বরদীতে হাইওয়ে পুলিশের দ্বায়িত্বহীনতায় অবৈধ যানবাহনে উচ্ছৃঙ্খল ঈদ উদযাপন
- প্রকাশিত সময় ০৩:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
- / 150
লাইসেন্স বিহীন চালক, ফিটনেস বিহীন গাড়ীর সাথে সড়কে নিষিদ্ধ যানবাহনের দৌড়াত্বে বছর জুড়েই দেশের সড়ক এবং মহাসড়ক গুলোতে মৃত্যুর মিছিল লেগেই থাকে।
আর সেই মৃত্যুর মিছিলে লাশের সাড়ি লম্বা হয় বিভিন্ন সামাজিক এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে।
তবে সড়ক এবং মহাসড়ক গুলোতে এসমস্ত নিষিদ্ধ গাড়ী চলাচলের আসকারা পায় সড়কের দ্বায়িত্বে থাকা হাইওয়ে থানা পুলিশের জন্য।
ফলস্রুতিতে নিয়ম অমান্য করে প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়ক গুলোতে অবৈধ যানবাহনের উচ্ছৃঙ্খল যাত্রা অবাধে চলতে থাকে।
বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল দিনব্যপী ঈশ্বরদী উপজেলার সমস্ত সড়ক এবং মহাসড়ক গুলো ঘুরে অবৈধ গাড়িতে উচ্ছৃঙ্খল ঈদ উদযাপন করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ ভুডভুডি, নসিমন, করিমন, লেগুনা, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে বড় বড় সাউন্ড বক্স লাগিয়ে সেটাতে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে মহাসড়ক গুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিশোর ও যুবকের দল।
যেখানে এই যানবাহন গুলো মহাসড়কে চলচলই নিষিদ্ধ সেখানে এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে চড়েছে ছেলেরা। অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে চড়েছেন এসব গাড়ীর ছাদে।
সেখানে বসতে একটু অসাবধান হলেই ছিটকে পড়ে প্রাণনাশের আশংকা রয়েছে। অথচ সেখানে চড়েই গানের তালে তালে নেচে উচ্ছৃঙ্খল ঈদ উদযাপন করছে কিশোর, যুবক এবং বয়স্করাও।
মহাসড়ক গুলোতে এসমস্ত অবৈধ গাড়ীতে উচ্চশব্দ করে রাস্তায় চলাচল করাতে সড়কে চলাচলরত অন্যান্য যানবাহন গুলোকেও পরতে হচ্ছে বিপাকে।
আর এ সবই হচ্ছে মহাসড়কের দ্বায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের চোখের সামনে।
সড়কে এমন অবৈধ গাড়ির উচ্ছৃঙ্খল চলাচল আর দ্বায়িত্বরত পুলিশের দ্বায়িত্বহীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ।
এমন উচ্ছৃঙ্খলভাবে অবৈধ গাড়ী নিয়ে সড়কে দাপিয়ে বেড়ানোতে পুলিশি বাধা নেই কেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক করিমন চালক জানান, আগে হাইওয়ে পুলিশ খুব ঝামেলা করত। তবে যেদিন থেকে মাসোহারা দেওয়া শুরু করেছি সেদিন থেকে সব কিছুতেই মাফ পাই।
ঐ সময় সড়কে কর্তব্যরত পাকশী হাইওয়ে থানার এএসআই মহিউদ্দিনের কাছে সড়কে নিষিদ্ধ এসমস্ত গাড়ী তাদের চোখের সামনে দিয়ে কিভাবে চলছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের সাথে বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিস কুমার স্যানালের কোন সদুত্তোর দেননি। উল্টো সংবাদ কর্মীদের সাথে অসদাচারণ করে ফোন রেখে দেন।