ট্রেনে দুই পা কাটা সেই অজ্ঞাত মহিলার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলো জিআরপি পুলিশ
- প্রকাশিত সময় ১২:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
- / 129
শনিবার ১৩ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে ঈশ্বরদীতে ট্রেনে দুই পা কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক মহিলার।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঐ মহিলাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পাবনা জেনারের হাসপাতলে প্রেরণ করেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
রবিবার ১৪ এপ্রিল রাতে ঐ মহিলা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ অজ্ঞাত মহিলার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে। পরে কোনভাবেই তার পরিচয়ের সূত্র না পেলে পিবিআই এর কাছে ঐ মহিলার পরিচয় শনাক্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সোমবার ১৫ এপ্রিল ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে ঐ মহিলার পরিচয় শনাক্ত করে।
ঐ মহিলা রাজশাহী জেলার চারঘাট থানা গুয়াবাসিনা গ্রামের মোঃ বাছের আলীর স্ত্রী মোসাঃ ফিরোজা বেগম (৫৫)।
পরিচয় শনাক্ত হলে ঈশ্বরদী জংশন থানার রেলওয়ে পুলিশ ঐ মহিলার পরিবারকে খবর দেন। পরে ১৫ এপ্রিল রাতে মৃত ফিরোজা বেগমের দুই ছেলে ও জামাতা এসে মৃতদেহ নিয়ে যান।
মৃত ফিরোজা বেগমের বড় ছেলে মোঃ আবু সাঈদ বলেন, আমার মা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিল। সে মাঝে মাঝে এমন বাড়ি থেকে চলে যেত, আবার একাই চলে আসতো। এবার প্রায় দুই মাস আগে সে বাড়ি থেকে চলে যায়। আমরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পায়নি। আজ শুনলাম সে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছে। তাই তার মরদেহ নিতে এসেছি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ ঈশ্বরদী জংশন থানার এসআই ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই মোঃ হাবিবুর রহমান (ওসি) স্যারের দিক নির্দেশনায় ঐ মহিলার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত ছিল। পরে পিবিআই এর মাধ্যমে ঐ মহিলার পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হই। ইতিমধ্যে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয় এবং ঐ মহিলার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।