মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে যুবলীগ নেতা খায়রুলের হত্যাকারীদের সি চাইলেন বৃদ্ধা মা ও শিশু কন্যা
- প্রকাশিত সময় ০৫:১৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
- / 130
পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবী জানালেন নিহতের বৃদ্ধা মা আছিয়া বেগম (৯০) ও শিশু কন্যা মারিয়া (৮)।
বুধবার ২৪ এপ্রিল বেলা ১২ টায় হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ওইদিন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে এলাকার কয়েক হাজার নারী পুরুষ প্রচন্ড রোদ গরমের মধ্যে স্বতঃফূর্তভাবে কয়েক ঘন্টা ব্যাপী উপস্থিত থেকে এসব কর্মসুচি পালন করেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনে যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলামকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে অভিযোগ করে চরগড়গড়ি কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি ইসাহক মোল্লা বলেন, খায়রুল ইসলাম স্থানীয় যুবলীগের নেতা। সবজি ব্যবসায়ী। সমাজসেবী। এলাকার দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের ঘটনা মিমাংসা করতে গেলে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে তাদের হাতে আওয়ামীলীগের আরও অনেক খায়রুলকে হত্যার শিকার হতে হবে।
নিহত খায়রুলের ৯০ বছরের মা আছিয়া বেগম কর্মসুচিতে উপস্থিত হয়ে ছেলের খুনিদের ফাঁসি নিজ চোখে দেখে যাওয়ার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেন।
নিহত খায়রুলের স্ত্রী লিপি খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবী করছি।
কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার তুহিন হোসেন, পল্লী চিকিৎসক মিনারুল ইসলাম, রন্টু, আব্দুর রশিদ প্রামানিক, সাইদুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, পিন্টু প্রামানিক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন নিহতের ছেলে এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র সাইফ হাসান লিমন। সংবাদ সম্মেলনে আবেগে আপ্লুত হয়ে বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েছে শিশু কন্যা মারিয়া।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১৯ এপ্রিল কটে জমি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ের পশ্চিম পাড়ার সাজু-খাইরুল গ্রুপের সঙ্গে একই এলাকার পূর্ব পাড়ার বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত হোসেন মাস্টার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষে খায়রুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে চরগড়গড়ি পূর্বপাড়ার হোসেন মাস্টার গ্রুপের লোকজন। এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত আরও ৩০ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার নিহত খায়রুল ইসলামের ভাই মোঃ আনারুল বাদী হয়ে হোসেন আলী প্রামানিক গোষ্টির ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কিছুজন অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের খালাতো ভাই মকলেছুর রহমান মজনুকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার ৪জন নামীয় আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।