ঈশ্বরদীর পুরুষশূন্য গ্রামে ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রেফতার ৪
- প্রকাশিত সময় ০৮:০৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
- / 134
পাবনার ঈশ্বরদীতে গত ১৯ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম নিহত হন এবং প্রায় ৩০ জনের উপর আহত হন।
এরপর নিহত খাইরুল ইসলামের ভাই মোঃ আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও প্রায় ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে গ্রেফতার এড়াতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়গড়ি পূর্ব পাড়ার পুরুষ সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। আর ফাঁকা বাড়িতে ভয়ে থাকতে পারছেন না নারী ও শিশুরা। ওই গ্রামের নারী ও শিশুরা আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে।
আর এই সুযোগে কিছু কুচক্রী মহল ঐসব বাড়িতে দিনে ও রাতের আধারে চালাচ্ছে লুটপাট। ঐসব বাড়িতে থাকা গরু-ছাগল, হাস-মুরগী ও সহজে বহনযোগ্য মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাচ্ছে লুটপাটকারীরা। যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ ও থানায় কোন অভিযোগ না থাকায় কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছে না পুলিশ।
এমনই একদল কুচক্রী ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে সোমবার ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঐ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর-কুরুলিয়া গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মোঃ ফজলু (৪৬), মৃত জয়নাল প্রামানিকের ছেলে মোঃ নূর সালাম (৫২), মোঃ উজ্জল প্রামানিকের ছেলে মোঃ কাওসার (১৯) এবং চর-গড়গড়ি গ্রামের মোঃ বাবু মোল্লার ছেলে মোঃ বাপ্পী (২০)।
এসময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে রাম দা, হাঁসুয়া ও ডাকাতির মালামাল বহনের জন্য দুটি ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মনিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়গড়ি এলাকায় হত্যার পর থেকে বাড়িতে লোকজন না থাকায় সেখানে তৃতীয় একটি কুচক্রী মহল ঐ গ্রামে ডাকাতির চেষ্টা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন তথ্য পেলে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।