সোমালিয়ার জলদস্যুর হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন আহমেদ সালেহ
- প্রকাশিত সময় ০৬:১৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / 77
সোমালিয়ার জলদস্যুর হাত থেকে অবশেষে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন এমবি আবদুল্লার নাবিক (ইঞ্জিন ফিটার) সালেহ আহমেদ (৪৮)।
বাড়ি ফিরে তিন কন্যাকে ধরে আবেগ আপ্লূত কন্ঠে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করেন তিনি। পরিবার স্বজন ও এলাকায় বইছে আনন্দের জোয়ার।
বুধবার ১৫ মে রাতে ৬৭ দিন পরে আপন নিবাসে ফিরে এসে নিজের অনুভূতির কথা গুলো বলছিলেন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত সাখাওয়াত হোসেন ও মৃত সালেহা বেগমের জৈষ্ঠ্য সন্তান সালেহ আহমেদ।
বাড়িতে আসার পর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বজনরা। ফিরে আসার আবেগ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। মনে হয় যেন এক নতুন জীবন। সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। দুই মাসেরও বেশি সময় পর স্বজনরা তাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ খুশিতে কাঁদতে থাকেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে আহমেদ সালেহ সবার বড়। তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে রিয়াজুল জান্নাত তাসফি (১৪) চাটখিল পাঁচগাও উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। মেজো মেয়ে একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ফাহমিদা আক্তার ফাইজা (১২) এবং ছোট মেয়ে হাফসা বিনতে সালেহর বয়স মাত্র তিন বছর।
উল্লেখ্যযে, গত ১২ মার্চ দুপুরে সোমালিয়ার দস্যুরা সালেহ আহমেদসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করে। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জাহাজ থেকে নামলেও সব মিলিয়ে ৬৭ দিন পর নিজ বাড়িতে আসেন সালেহ। সালেহের ফিরে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে এক নজর দেখার জন্য তার বাড়িতে ভিড় জমান।
খবর পেয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন ফুল নিয়ে দেখা করতে আসেন সালেহের বাড়িতে। এসময় চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, দেশ বিদেশে সকলে আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, ওনার সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফেরার পথ সহজ হয়েছে।