অপমান সইতে না পেরে দম্পতির বিষপান
স্ত্রীর দাফনের পরই স্বামীর মৃত্যু
- প্রকাশিত সময় ০৮:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
- / 129
গত রবিবার ৩০ জুন সকালে দূরসম্পর্কের এক নানীর কটুক্তিমূলক কথার অপমান সইতে না পেরে রিয়া খাতুন (১৯) ও সাজেদুল ইসলাম (২১) নামের এক দম্পতি বিষপান করেছিল। সেদিনই মৃত্যুবরণ করে রিয়া। আর সাজেদুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।
সোমবার ০১ জুলাই রাত ৯টায় রিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়। এদিকে গোরস্তানে লোকজন থাকতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাজেদুলের মৃত্যুর খবর আসে।
মঙ্গলবার ০২ জুলাই দুপুরে সাজেদুলের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা আজতব প্রামানিক।
রিয়া ঈশ্বরদীর সাহাপুর আজিজলতলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে। আর সাজেদুল একই উপজেলার চরগড়গড়ি এলাকার আজতব প্রামানিকের ছেলে।
প্রতিবেশি ও থানা সুত্র জানায়, একমাস পুর্বে রিয়া ও সাজেদুল প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে। রিয়ার পরিবার বিয়ে মেনে না নিলেও সাজেদুলের পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়। সাজেদুলের বাড়িতে শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি, ননদসহ আত্মীয়দের নিয়ে সুখেই ছিলো রিয়া। কিন্তু রিয়ার দূর সম্পর্কের নানী (চাচির মা) ভানু বেগম রিয়ার শ্বশুড় বাড়িতে গিয়ে রিয়াকে নানা রকম কটুক্তিমূলক কথা বলে এবং মুখে থুথু ফেলে তাদের ভালবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। এতে চরম অপমানিত বোধ করে সাজেদুল ও রিয়া পরিবারের লোকজনের চোখের আড়ালে নিজ ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) ভর্তি করা হয়। সেখানেই রিয়ার মৃত্যু হয়। আর স্ত্রীর মৃত্যুও পরেরদিন স্বামী সাজেদুলেও মৃত্যুবরণ করেছে।
রিয়ার শ্বশুড় আজতব প্রামানিক জানান, ঘটনার সময় তাদের অনুপস্থিতিতে রিয়ার বড় চাচার শ্বাশুড়ি ভানু বেগম বেড়াতে গিয়ে রিয়াকে নানা কটুক্তি করে। থুতু ফেলে ঘৃণা প্রকাশ করার অপমান সহ্য করতে না পেরে রিয়া ও সাজেদুল আত্মহত্যার জন্য বিষপান করে। ঘটনার দিনই রিয়া মারা যায়। আর রিয়ার দাফন কাজ শেষ না হতেই সাজেদুল মারা যায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, নবদম্পতির বিষপানে আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। রিয়ার দাফনের পরই সাজেদুল মারা গেছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।