ভাঙ্গুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছেলেকে আটকের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি
- প্রকাশিত সময় ১২:১০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
- / 88
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অনিক (২০) নামের এক শিক্ষককে আটকের ভয় দেখিয়ে তার মা সালমার নিকট মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে ভুয়া ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার ২ জুলাই বেলা ১১ টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অনিকের মা সালমার নম্বরে কল করে চাঁদা দাবি করা হয়।
অনিক নৌবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা ও মৃত বাবুর ছেলে। সে মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলে চাকরি করেন।
অনিকের মা সালমা বলেন, আমি এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি এমতাবস্থায় মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে একটা অপরিচিত নম্বর থেকে আমার মোবাইলে কল আসে। মোবাইল রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে গম্ভীর কণ্ঠে জানতে চায় আপনি কি অনিকের আম্মু। আপনার ছেলে চাকরি করে কিন্তু এই মুহূর্তে আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি আছে। অতিদ্রুত ৫০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করেন, না হলে আপনার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ হবে। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোনের মাধ্যমে এমন কথা শোনার পরে আমি বিব্রত ও বিচলিত হয়ে পড়ি।
এরপর আপনারা কারা জানতে চাইলে তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে বলে, অতি দ্রুত টাকার ব্যবস্থা করেন। মাঝে মাঝে ছেলের কৃত্রিম কান্নার স্বর মোবাইল ফোনে শুনান। এমন অবস্থা শুনে আমি মানসিকভাবে বিচলিত হয়ে পড়ি। একপর্যায়ে অনিকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা অনিককে দেয়নি।
এভাবে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে প্রতারক চক্রের কথা শোনার পর কল কেটে আমি অনিককে কল দিয়ে জানতে পারি অনিক তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এবং ভালো আছে।
বিষয়টা নিয়ে তিনি বিচলিত হয়ে তাৎক্ষণিক স্কুলে ছুটে আসেন এবং অনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম ও অনিককে ডেকে একসঙ্গে নিয়ে ঘটনার আদ্যোপান্ত খুলে বলেন।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে অনিকের পিতা বাবুর মৃত্যুর পর তার মা সালমা দুই সন্তানকে নিয়ে নৌবাড়ীয়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোনের মাধ্যমে হঠাৎ ছেলে সম্পর্কে এমন কথা শুনে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন।
ঘটনার বিষয়ে মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম বলেন, এরা এক ধরনের প্রতারক চক্র এদের কথায় বিভ্রান্ত হবার কোন কারণ নেই। সবাই সচেতন হলে প্রতারক চক্র কিছুই করতে পারবে না।
অনিকের মা সালমা আরও বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে নৌবাড়িয়া এলাকায় স্বামীর ভিটায় বসবাস করি। হঠাৎ মোবাইল ফোনে বড় ছেলে সম্পর্কে এমন এমন কথা শুনে বড়ই চিন্তা বোধ হচ্ছে। জানি না ভবিষ্যতে কোন দুর্ঘটনা ঘটে কিনা।