ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৩১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 76



ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে মাদক বিরোধী সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলীপি প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার ১ সেপ্টেম্বর সকালে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের চলাচল নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপি প্রদানের পরে শহরের রেলগেট এলাকায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে।

কর্মসুচি শেষে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি বর্ষণ করায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

কয়েক ঘন্টাব্যাপী এসব কর্মসূচিতে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ সহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী স্বতঃফুর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে।

সে সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণের জন্য পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন, সম্রাট, পার্থিব, রতন ও জিয়া সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে নানা রকম শ্লোগান দেয় ও তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানায়। এছাড়াও তারা ঈশ্বরদীতে সম্প্রতি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করতে নিষেধ করে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য আহবান জানায়।

তারা আরও বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে উপজেলা পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন সমন্বয়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা ছিল না। আমরা ঈশ্বরদীর শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ৪ আগস্ট সকলে মিলে আন্দোলন করি তখনও কোন সমন্বয় কমিটি ছিল না। দেশ স্বাধীনের পরে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের নানা মহল তাদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাই আমরা নিজেদের সমন্বয়ক দাবিও করছি না এবং যারা নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্কও নাই। যদি সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ কোন অন্যায়ে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধের প্রশাসনকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর প্রশাসনকে যথাযথভাবে কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় শিক্ষার্থীরা।

পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা নয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। আমাকে হামলায় জড়িত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবির কুমার দাশ বলেন, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ স্মারকলিপি আকারে পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য স্মারকলিপিটি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত সময় ০৬:৩১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪



ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে মাদক বিরোধী সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলীপি প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার ১ সেপ্টেম্বর সকালে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের চলাচল নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপি প্রদানের পরে শহরের রেলগেট এলাকায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে।

কর্মসুচি শেষে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি বর্ষণ করায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

কয়েক ঘন্টাব্যাপী এসব কর্মসূচিতে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ সহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী স্বতঃফুর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে।

সে সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণের জন্য পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন, সম্রাট, পার্থিব, রতন ও জিয়া সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে নানা রকম শ্লোগান দেয় ও তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানায়। এছাড়াও তারা ঈশ্বরদীতে সম্প্রতি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করতে নিষেধ করে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য আহবান জানায়।

তারা আরও বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে উপজেলা পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন সমন্বয়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা ছিল না। আমরা ঈশ্বরদীর শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ৪ আগস্ট সকলে মিলে আন্দোলন করি তখনও কোন সমন্বয় কমিটি ছিল না। দেশ স্বাধীনের পরে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের নানা মহল তাদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাই আমরা নিজেদের সমন্বয়ক দাবিও করছি না এবং যারা নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্কও নাই। যদি সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ কোন অন্যায়ে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধের প্রশাসনকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর প্রশাসনকে যথাযথভাবে কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় শিক্ষার্থীরা।

পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা নয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। আমাকে হামলায় জড়িত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবির কুমার দাশ বলেন, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ স্মারকলিপি আকারে পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য স্মারকলিপিটি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।