ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে সল্পমূল্যে টিপিসিবি’র পন্য বিক্রয় শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি; আছে অসন্তোষও

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 34



সারাদেশের ন্যায় পাবনার ঈশ্বরদীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে টিপিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম ছাড়া উর্ধ্বগতিতে টিপিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে অনেকেরই রয়েছে নানা অভিযোগ।

পতিত আওয়ামীলীগ সরকার গত ৩ আগস্ট টিসিবি’র পন্য বিক্রয়ের ঘোষনা দিয়েছিল। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ঘোষণা অনুযায়ী টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর টিসিবি’র কার্যক্রম বন্ধ রাখে। গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম পুনরায় শুরুর ঘোষনা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদীতে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তির ফিরে এসেছে। তবে টিসিবি’র পন্য বিক্রয়ে কিছু অব্যবস্থাপনা এবং জনঅসন্তোষ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে ঈশ্বরদী সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবি’র পন্য ক্রয় করতে আসেন টিসিবি কার্ডধারী গ্রাহকেরা।

ঝুম বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে টিসিবি’র পন্য কিনছে নিম্ন আয়ের জনসাধারন। ছবিঃ সৌরভ কুমার দেবনাথ।

গ্রাহকরা অনেকেই দাবি করছে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে টিসিবি’র কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এখন নতুন সরকার আসলেও তারাই টিসিবি’র পণ্য পাচ্ছে, আমরা পাচ্ছি না। আবার অনেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলছে- আগে লাইনে দাড়িয়ে থেকে পন্য না পেয়ে চলে যেতে হতো, কিন্তু এখন ঠিকমত পন্য পাচ্ছি।

অপরদিকে ডিলাদেরকেও বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ডিলাররা কার্ডের সুব্যবস্থাপনা ও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি করে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম সেজন্য কার্ডবিহীন অনেকেই এসে ঘুরে যান এবং আমাদের নানা ধরনের কথা শুনতে হয়।

তারা আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক কার্ডধারী টিসিবি’র পণ্য নিতে আসছে না সেক্ষেত্রে ট্যাগ অফিসার স্থানীয় কাউন্সিলের সুপারিশে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার বলেন, বর্তমান সরকার পূর্বের কার্ড বাতিলের কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা কিছু কার্ডের ত্রুটিবিচ্যুতি সংশোধন করার কথা বলেছে। আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু কার্ড সংশোধন করে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় শুরু করেছি। দেশে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতির কারণে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে তেমন কোন গ্রাহক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়নি। আমরা আশা করছি আগামী অক্টোবর মাস থেকে নির্ধারিত সময়ে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম চলবে।

ডিলারদের উপরে চাপ প্রয়োগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি, তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ১২টি ডিলারের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার ৪৬৫ জন গ্রাহকের মাঝে স্বল্পমূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

ঈশ্বরদীতে সল্পমূল্যে টিপিসিবি’র পন্য বিক্রয় শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি; আছে অসন্তোষও

প্রকাশিত সময় ০৩:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪



সারাদেশের ন্যায় পাবনার ঈশ্বরদীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে টিপিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম ছাড়া উর্ধ্বগতিতে টিপিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে অনেকেরই রয়েছে নানা অভিযোগ।

পতিত আওয়ামীলীগ সরকার গত ৩ আগস্ট টিসিবি’র পন্য বিক্রয়ের ঘোষনা দিয়েছিল। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ঘোষণা অনুযায়ী টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর টিসিবি’র কার্যক্রম বন্ধ রাখে। গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম পুনরায় শুরুর ঘোষনা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদীতে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তির ফিরে এসেছে। তবে টিসিবি’র পন্য বিক্রয়ে কিছু অব্যবস্থাপনা এবং জনঅসন্তোষ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে ঈশ্বরদী সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবি’র পন্য ক্রয় করতে আসেন টিসিবি কার্ডধারী গ্রাহকেরা।

ঝুম বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে টিসিবি’র পন্য কিনছে নিম্ন আয়ের জনসাধারন। ছবিঃ সৌরভ কুমার দেবনাথ।

গ্রাহকরা অনেকেই দাবি করছে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে টিসিবি’র কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এখন নতুন সরকার আসলেও তারাই টিসিবি’র পণ্য পাচ্ছে, আমরা পাচ্ছি না। আবার অনেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলছে- আগে লাইনে দাড়িয়ে থেকে পন্য না পেয়ে চলে যেতে হতো, কিন্তু এখন ঠিকমত পন্য পাচ্ছি।

অপরদিকে ডিলাদেরকেও বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ডিলাররা কার্ডের সুব্যবস্থাপনা ও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি করে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম সেজন্য কার্ডবিহীন অনেকেই এসে ঘুরে যান এবং আমাদের নানা ধরনের কথা শুনতে হয়।

তারা আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক কার্ডধারী টিসিবি’র পণ্য নিতে আসছে না সেক্ষেত্রে ট্যাগ অফিসার স্থানীয় কাউন্সিলের সুপারিশে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার বলেন, বর্তমান সরকার পূর্বের কার্ড বাতিলের কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা কিছু কার্ডের ত্রুটিবিচ্যুতি সংশোধন করার কথা বলেছে। আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু কার্ড সংশোধন করে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় শুরু করেছি। দেশে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতির কারণে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে তেমন কোন গ্রাহক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়নি। আমরা আশা করছি আগামী অক্টোবর মাস থেকে নির্ধারিত সময়ে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম চলবে।

ডিলারদের উপরে চাপ প্রয়োগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি, তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ১২টি ডিলারের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার ৪৬৫ জন গ্রাহকের মাঝে স্বল্পমূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হয়।