ঈশ্বরদীতে পৌরসভার সেবা প্রদানে ভোগান্তি ও জালিয়াতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
- প্রকাশিত সময় ০৬:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 94
“ঈশ্বরদী নাগরিক রক্ষা আন্দোলন” ব্যানারে পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা কর্তৃক নাগরিকদের সাথে জালিয়াতি, বিধি বহির্ভূত অর্থ আদায় ও সেবা প্রদানে ভোগান্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঈশ্বরদী বাজারের ১নং গেটে “ঈশ্বরদী নাগরিক রক্ষা আন্দোলন” ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা প্রায় ৪ শত এর অধিক পৌরবাসীর স্বাক্ষরকৃত ১৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি ঈশ্বরদী পৌরসভার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাসের নিকট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করেন।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপিতে আন্দোলনকারীরা ঈশ্বরদী পৌরসভার জালিয়াতি ও ভোগান্তির বিরুদ্ধে ১৪ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন- অযৌক্তি কর বৃদ্ধি, নানান ধরনের অসংগতিপূর্ণ কর আদায় ও পৌরসভার আয় ও ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ এবং দুর্নীতি বন্ধ সহ অন্যান্য দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে “ঈশ্বরদী সচেতন নগরবাসী” ব্যানারে অযৌক্তিক পৌরকর বৃদ্ধি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তাদের অতিরিক্ত পৌরকর বাতিলের দাবি জানাতে দেখা যায়।
আজ “ঈশ্বরদী নাগরিক রক্ষা আন্দোলন” ব্যানারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রধান অনুষ্ঠিত হলো। অপরদিকে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর “ঈশ্বরদী সচেতন নাগরবাসী” ব্যানারে একই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে জনমনে এক ধরনের সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে “ঈশ্বরদী নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলন” এর সুলতান মাহমুদ খান বিদ্যুৎ বলেন, আমরা চাই ঈশ্বরদী থেকে একাধিক ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে নাগরিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠন থাকুক। আমরা তাদের কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই।
আগে একসাথে ছিলেন এখন আলাদা হয়ে কাজ করছেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা শুধু পৌরকর বৃদ্ধির বিষয়ে আন্দোলন করছে, অন্যান্য বিষয়ে তারা কাজ করতে আগ্রহী নয়, তাই আমরা আলাদাভাবে দাবি জানাচ্ছি।
অপরদিকে “ঈশ্বরদী সচেতন নগরবাসী” এর আ ফ ম রাজিবুল আলম ইভান বলেন, আমরা সর্বপ্রথম পৌরসভা কর্তৃক অযৌক্তিক কর বৃদ্ধি বাতিলের দাবিতে “ঈশ্বরদী সচেতন নগরবাসী” ব্যানারে এর প্রতিবাদ জানাই। সেসময় ঈশ্বরদীর অন্যান্য সংগঠনও আমাদের সাথে একতাত্মা ঘোষণা করে সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগদান করে। কেউ কেউ তো আন্দোলনে সাবোট্যাজ (নাশকতা) করতে চাই। এরা হলো সেই গ্রুপ এবং এদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। তারা আমাদের সাথে ছিল এখন আর আমাদের সাথে নেই। যেহেতু তারা জনগণ তাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেবার অধিকার আছে, এটা তাদের ব্যাপার, এর দায় দায়িত্ব আমাদের নয়।
এদিকে সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত নতুন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস সকালে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ও ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
সামগ্রিক বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহনের পরে আলোচনা সাপেক্ষে ৩ মাসের একটি কর্মপরকল্পনা গ্রহণ করেছি। যা পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলকে জানানো হবে। আর স্মারকলিপির মাধ্যেম জানানো দাবিগুলোর ভিত্তিতে আমি পৌরবাসীকে সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।