পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের রাতুল (১৮) নামের শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুপা ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চরমিরকামারি সেন্টারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত রাতুল উপজেলার চরমিরকামারি সেন্টারপাড়া এলাকার মজিদ সরদার ছেলে ও ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী। সে ছাত্রলীগের কর্মী ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর-মিরকামারি সেন্টার পাড়া সুইটের চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাতুল নামে ওই শিক্ষার্থীকে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি দুইটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়৷ পরে তাকে পাকা বাবুর নির্জন পরিত্যক্ত রাইস মিলে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে। আহত রাতুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

আহত রাতুলের চাচা রুবেল হোসেন বলেন, সন্ধ্যা সময় বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে হাসান ও হোসাইন দুই ভাই সহ বেশকিছু লোকজন চায়ের দোকান থেকে রাতুলকে তুলে নিয়ে যায়। পাকা বাবু মেল ঘরে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে রাতুলের দুই পা ভেঙে দেয়। রাজশাহীর ডাক্তাররা বলেছে এক পায়ের দুই স্থানে ভেঙেছে, অপর পায়ের এক স্থানে ভেঙেছে। রাতের ভিতরে রাতুলের অপারেশন করতে হবে। এখন অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শাকিব হাসান জানান, আহত রাতুলের শরীরে উপরে দিকে কোন আঘাত চিহ্ন নাই। তার দুই পায়ে হাতুড়ি দিয়ে থেতলে দিয়েছে এমন মনে হয়। কিন্তু এক পায়ে বড় ক্ষত আছে। তার পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি, তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, ঘটনাস্থলের আশেপাশে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।