ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ইউপি কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০১:১৩:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 19



কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে পরিষদে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার ৩০শে সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ করার সময় তার ওপর গুলি চালানো হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে।

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি নিয়মিত পরিষদে যেতেন। সোমবার সকালেও অন্যান্য দিনের মতো বাড়ি থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে যান চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু।

পরে তিনি নিজ কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ এবং দুইজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপরও চড়া হয় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, নঈমুদ্দিন সেন্টু একসময় বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেসময় তাকে আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যায়। এর আগেও তিনি এই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, তিনি চেয়ারম্যান কার্যালয়ের বাইরে বসে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের পেছনের জানালা দিয়ে চার পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে তিনি প্রাণভয়ে পরিষদের একটি কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন চেয়ারম্যান সেন্টুর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ ফ্লোরে পড়ে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানান, হত্যাকাণ্ড শেষে দুর্বৃত্তরা পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলার যোগে পালিয়ে গেছে।

নিহত চেয়ারম্যানের জামাই হাসিবুর রহমান বিজয় বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তার শ্বশুরকে এলাকার একটি গোষ্ঠী হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।

নিহতের ছেলের বউ শামীমা আক্তার বলেন, বাবার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে বের করার জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ করছি।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আব্দুল খালেক জানান, কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

ইউপি কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত সময় ০১:১৩:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪



কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে পরিষদে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার ৩০শে সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ করার সময় তার ওপর গুলি চালানো হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে।

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি নিয়মিত পরিষদে যেতেন। সোমবার সকালেও অন্যান্য দিনের মতো বাড়ি থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে যান চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু।

পরে তিনি নিজ কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ এবং দুইজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপরও চড়া হয় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, নঈমুদ্দিন সেন্টু একসময় বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেসময় তাকে আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যায়। এর আগেও তিনি এই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, তিনি চেয়ারম্যান কার্যালয়ের বাইরে বসে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের পেছনের জানালা দিয়ে চার পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে তিনি প্রাণভয়ে পরিষদের একটি কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন চেয়ারম্যান সেন্টুর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ ফ্লোরে পড়ে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানান, হত্যাকাণ্ড শেষে দুর্বৃত্তরা পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলার যোগে পালিয়ে গেছে।

নিহত চেয়ারম্যানের জামাই হাসিবুর রহমান বিজয় বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তার শ্বশুরকে এলাকার একটি গোষ্ঠী হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।

নিহতের ছেলের বউ শামীমা আক্তার বলেন, বাবার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে বের করার জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ করছি।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আব্দুল খালেক জানান, কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।