ঈশ্বরদীতে “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” এর আত্মপ্রকাশ
- প্রকাশিত সময় ০২:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
- / 51
ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে কথিত গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় সদ্য কারামুক্ত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
রবিবার ২০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” নামের সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” এর ১০ জনকে সমন্বয়ে ও ২১ জনকে সদস্য করে নেতৃবৃন্দের পরিচিতি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন তাঁরা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সন্ত্রাসী ও গুন্ডাবাহিনী দ্বারা সারা দেশের মতো আমরা সহ ঈশ্বরদীর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী নানাভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের আমলেও নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এই মামলায় জামিন প্রাপ্ত নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ৯ জন নেতা ফাঁসির সাজা মাথায় নিয়ে কারাগারে মানবতার জীবন যাপন করছেন।
তাঁরা বর্তমান সরকারের কাছে এই ৯ জন নেতার মুক্তি দাবি করেন এবং তাদের মুক্তি দেওয়া না হলে রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
তাঁরা বিগত সরকারের শাসনামল ও জুলাই আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ্যতা কামনা করেন।
তাঁরা আরো বলেন, ঈশ্বরদীতে বিএনপি’র বিভাজনের কারণে জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) বারবার পরাজিত হয়েছে। আমরা “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” বিএনপিতে আর কোন বিভাজন দেখতে চাই না। কেন্দ্র থেকে যাকে ধানের শীষ দেওয়া হবে তার বিজয় নিশ্চিত করে ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে উপহার দেবো ইনশাল্লাহ।
এছাড়াও তাদের বাদ দিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করার চেষ্টা করলে রাজপথে সেটির রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার ঘোষণা করেন। তারা বলেন, বসন্তের কোকিল বা অযোগ্য কাউকে নেতা বানানোর চেষ্টা করলে রাজপথের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা তা কখনো মেনে নেবে না।
“বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” নাম কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, হাবিব ভাইকে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক করে এই এলাকার বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কারামুক্তির পরে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব আমাদের ডেকে নিয়ে বসবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা সেটি করেননি। দীর্ঘদিন ঈশ্বরদী উপজেলার ও পৌর বিএনপি’র কোন কমিটি নেই। আমরা আশা করেছিলাম হাবিব ভাই আমাদের ডেকে নিয়ে বসবেন। কিন্তু হাবিব ভাই এখনো সেটি করেননি। অথচ ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির আহ্বায়ক হয়েছেন হাবিব ভাই, সেটি ঠিক আছে। কিন্তু ঈশ্বরদীর বিএনপি’র পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এবং কারো সাথে আলোচনা না করে আজমল হোসেন সুজনকে সেই কমিটিতে নেওয়া হয়েছে, সেটি মেনে নেওয়া যায় না।
শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে কথিত হামলার মিথ্যা মামলার সদ্য কারামুক্ত প্রায় সকল নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।