ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সলঙ্গায় গৃহকর্মী তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০২:১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 1



সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার হাটিকুমরুলের দাদনপুর গ্রামের প্রভাবশালী বুলবুল ইসলামের বাড়ির গৃহকর্মী (১৪) তার পেটে থাকা ৮ মাস বয়সী সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায়।

১৯ অক্টোবর সলঙ্গা থানার মাসুয়াকান্দি গ্রামের ভুক্তভোগীর দাদা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা জুরান আলীর বাড়ীতে এবিষয়ে একটি শালিস হয়েছে। ভুক্তভোগীর পেটে থাকা বাচ্চাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গর্ভপাতের মাধ্যমে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি চক্র।

জানা গেছে, দাদনপুর গ্রামের প্রভাবশালী বুলবুলের বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত মেয়েটি। হঠাৎ বুলবুলের স্ত্রী আয়েশা বেগম, মেয়েটির শারীরিক নানা পরিবর্তন দেখে বেবীচেক কিটের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষা করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে জানতে পারে। এসময় বুলবুলের স্ত্রী তাকে কাজে থেকে বের করে দেন। পরে তার প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন সিরাজগঞ্জ রোডস্থ হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ডাঃ জিবুন্নেসার অধিনে আল্টাসনোগ্রাম করান। তাতে রাশিদা সে সময় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা দেখা যায়।

পরে তার কাছে তার পেটের বাচ্চার বাবা কে জানতে চাইলে সে জানান, সে যার বাড়ীতে কাজ করতো সেই বাড়ির মালিক বুলবুল সাহেবের ছেলে বগুড়ার এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবু জার (১৫) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। যার ফলে তার পেটে বাচ্চা হয়েছে।

এবিষয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর সলঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আবু জার এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী মেয়েটি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বুলবুলের বাড়ী থাকা অবস্থায় তার ছেলে আবু জার আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমার পেটের বাচ্চার বাবা আবু জার। আমি আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাদনপুর গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন-বুলবুল তার ছেলেকে বাঁচাতে মেয়েটিকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে এই গর্ভপাতের প্রচেষ্টা চালায়। এখন অন্য কাউকে মোটা টাকার বিনিময়ে তার সাথে মেয়েটিকে গর্ভধারণের পূর্ববর্তী তারিখ দিয়ে কাবিনের মধ্যমে বিয়ে দিয়ে বাচ্চাটির পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করবে। পরে আবার তালাক দিয়ে মামলা শেষ করবে বলে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে। তবে বাচ্চা নষ্টের পাঁয়তারার বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিদা ও তার বাবা রাশিদুল ইসলাম।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে মুঠোফোনে অভিযুক্তের বাবাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয়পক্ষ মাসুয়াকান্দি মেয়েটির দাদার বাড়িতে বসেছিলাম। সেখানে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত হয়, অন্য একটি ছেলের সাথে মেয়েটির গর্ভধারণের পূর্ববর্তী তারিখে একটা কাবিন করে বিয়ে দেয়া হবে, যা ২ মাস পর আবার তালাক দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টি একেবারে শেষ করা হবে। ওখানে আলম চেয়ারম্যান এর বৌ সাথী খাতুন দরবারে উপস্থিত হওয়াতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা একটু ভুল বুঝেছে। আশা করি দ্রুতই শেষ হবে।

এবিষয়ে মুঠোফোনে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে মামলা হয়েছে। দরবার শালিসের বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সলঙ্গায় গৃহকর্মী তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায়

প্রকাশিত সময় ০২:১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪



সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার হাটিকুমরুলের দাদনপুর গ্রামের প্রভাবশালী বুলবুল ইসলামের বাড়ির গৃহকর্মী (১৪) তার পেটে থাকা ৮ মাস বয়সী সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায়।

১৯ অক্টোবর সলঙ্গা থানার মাসুয়াকান্দি গ্রামের ভুক্তভোগীর দাদা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা জুরান আলীর বাড়ীতে এবিষয়ে একটি শালিস হয়েছে। ভুক্তভোগীর পেটে থাকা বাচ্চাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গর্ভপাতের মাধ্যমে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি চক্র।

জানা গেছে, দাদনপুর গ্রামের প্রভাবশালী বুলবুলের বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত মেয়েটি। হঠাৎ বুলবুলের স্ত্রী আয়েশা বেগম, মেয়েটির শারীরিক নানা পরিবর্তন দেখে বেবীচেক কিটের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষা করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে জানতে পারে। এসময় বুলবুলের স্ত্রী তাকে কাজে থেকে বের করে দেন। পরে তার প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন সিরাজগঞ্জ রোডস্থ হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ডাঃ জিবুন্নেসার অধিনে আল্টাসনোগ্রাম করান। তাতে রাশিদা সে সময় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা দেখা যায়।

পরে তার কাছে তার পেটের বাচ্চার বাবা কে জানতে চাইলে সে জানান, সে যার বাড়ীতে কাজ করতো সেই বাড়ির মালিক বুলবুল সাহেবের ছেলে বগুড়ার এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবু জার (১৫) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। যার ফলে তার পেটে বাচ্চা হয়েছে।

এবিষয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর সলঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আবু জার এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী মেয়েটি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বুলবুলের বাড়ী থাকা অবস্থায় তার ছেলে আবু জার আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমার পেটের বাচ্চার বাবা আবু জার। আমি আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাদনপুর গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন-বুলবুল তার ছেলেকে বাঁচাতে মেয়েটিকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে এই গর্ভপাতের প্রচেষ্টা চালায়। এখন অন্য কাউকে মোটা টাকার বিনিময়ে তার সাথে মেয়েটিকে গর্ভধারণের পূর্ববর্তী তারিখ দিয়ে কাবিনের মধ্যমে বিয়ে দিয়ে বাচ্চাটির পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করবে। পরে আবার তালাক দিয়ে মামলা শেষ করবে বলে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে। তবে বাচ্চা নষ্টের পাঁয়তারার বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিদা ও তার বাবা রাশিদুল ইসলাম।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে মুঠোফোনে অভিযুক্তের বাবাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয়পক্ষ মাসুয়াকান্দি মেয়েটির দাদার বাড়িতে বসেছিলাম। সেখানে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত হয়, অন্য একটি ছেলের সাথে মেয়েটির গর্ভধারণের পূর্ববর্তী তারিখে একটা কাবিন করে বিয়ে দেয়া হবে, যা ২ মাস পর আবার তালাক দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টি একেবারে শেষ করা হবে। ওখানে আলম চেয়ারম্যান এর বৌ সাথী খাতুন দরবারে উপস্থিত হওয়াতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা একটু ভুল বুঝেছে। আশা করি দ্রুতই শেষ হবে।

এবিষয়ে মুঠোফোনে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে মামলা হয়েছে। দরবার শালিসের বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।