গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় রেজাউল করিম (৪৫) নামক এক ভুয়া কবিরাজকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ দিনের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এই কারাদন্ড প্রদান করেন।

পাবনা জেলা এনএসআই’র গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় আটঘরিয়া পৌরসভার ধলেশ্বর গ্রামের মৃত আবু বক্কার হোসেনের ছেলে ভুয়া কবিরাজ রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছিল।

সোমবার ১৮ নভেম্বর সকালে জেলা এনএসআই’র গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভুয়া কবিরাজ রেজাউলকে হাতে নাতে ধরে ২০২৪ সালের ৬৩/২০২৪ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সালের ৪১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৩০ দিনের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. কামরুজ্জামান, জেলা এনএসআই পাবনা সহকারী পরিচালকসহ স্থানীয় এলাকাবাসি।

এলাকাবাসী জানান, ‘রেজাউল করিম আজ থেকে চার/পাঁচ বছর যাবৎ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে বলে আসছিলেন আমার কাছে হিন্দু জেন(জ্বীন) আছে, আমার মেয়ের কাছে মুসলমান জেন আছে, এসব জেন সৌদি আরবের মক্কা মদিনা, ভারতের কামরুপ কামাখ্যা থেকে আসে।’

জ্বীন স্বপ্নের মাধ্যমে জানান যে প্যারালাইসিস, জিন ভুতের আছর, স্বামীর সংসার জোড়া লাগানো, ভাঙ্গা প্রেমে জোড়া লাগানো, মনের মানুষকে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, যৌনমিলনে অক্ষমতা দূর করা, বিবাহিত মেয়েদের বাচ্চা দানে অক্ষমদের বাচ্চা হওয়ানোর ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন রোগের সুচিকিৎসা করার কথা বলে দিত। তিনি চিকিৎসা বাবদ নগদ অর্থ, মুরগী, পাঠাছাগল নিতেন।

ভুয়া প্রতারক কবিরাজি রেজাউল করিমের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত মালামাল গুলো হলো- ৫টি মাথার খুলি, তজবি, হিন্দু ধর্মের বই, ত্রিসুল, একটি লাহার বড় চেন, শংখো, সিঁদুর, স্বামীর সংসার জোড়া লাগানো একটি মেয়ের ছবি সহ আরও বিভিন্ন গাছগাছালির ছাল।