ঈশ্বরদীতে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় হতাশ হয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- প্রকাশিত সময় ০৮:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
- / 20
পাবনার ঈশ্বরদীতে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় হতাশ হয়ে ডাইনিং রুমের ফ্যানের হ্যাঙ্গার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সিমা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে চরমিরকামারী সাকড়েগারি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সিমা খাতুন চরমিরকামারী সাকড়েগারি এলাকার ব্যবসায়িক জহুরুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী জহুরুল জানান, সকাল ১০টার সময় বাসা থেকে ডিস্ট্রিবিউটরের মালামাল দেওয়ার জন্য অফিসে যান তিনি। সাড়ে ১১টার সময় মেয়েকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের করে দেন সীমা। মেয়ের স্কুল তার কর্মস্থলের পাশে হওয়ায় তিনি মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন তোমার আম্মু কি করে। মেয়ে বলে আমাকে বের করে দিয়ে আম্মু ভিতর থেকে তালা মেরে দিয়েছে। জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোন করে বলেন তোমার রান্নাবান্না করার দরকার নাই ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে রাখো আমি এসে রান্না করবো। তার স্ত্রী বলেন রান্না করা আছে রান্না করা লাগবে না, তুমি এসে দুপুরের খাবার খাবা। পরে জহুরুল ইসলাম তার ছেলেকে ভুতের গাড়ি মাদ্রাসা থেকে আনতে গিয়েছিলেন। ছেলেকে নিয়ে বাসায় পৌঁছালে ছেলে বাসার দরজা বারবার ধাক্কা দিলে ভিতর থেকে কোন সাড়া দিচ্ছিল না সীমা। জহরুল ইসলামের কাছে বাসার চাবি থাকাতে গেটের তালা খুলে দেখতে পান ডাইনিং রুমের ফ্যানের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তার স্ত্রী ঝুলে আছেন। পরবর্তীতে ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের বড় সানাউল্লাহ মেম্বার জানান, আনুমানিক দেড়টার সময় আমার বোনের বড় ভাসুর আনারুল ইসলাম ফোন করে সীমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার খবরটি দেন।
তিনি আরো জানান, পাইলসের জন্য তিনি পাঁচ থেকে ছয় বার অপারেশন করিয়েছেন। এটা নিয়ে তিনি হতাশ ছিলেন এ কারনেই তিনি আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবিষয়ে থানাতে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।