ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নাতনীকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে নানা-নাতির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ১০:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 20



নানার বাড়িতে ঈদ করা হলো না মুনতাহার (৫)। নানার বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিল মুনতাহা। মুনতাহাকে ট্রেন দেখাতে পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল (দোতলা সাঁকো সংলগ্ন) রেল লাইনে নিয়ে যান নানা বাবুল সরদার (৫৫)। সেখানেই ঘতে বিপত্তি।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দিক থেকে ট্রেনের ইঞ্জিন আসতে দেখে নাতনী দৌড়ে রেল লাইনের উপর উঠে যায়। এমতাবস্থায় নাতনীকে বাঁচাতে গেলে নাতনীর মত নানা বাবুল সরদার ছুটে গেলে উভয়ই ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় ছিটকে নিচে পড়ে যান। মোড়ের লোকজন ছুটে গিয়ে নানাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান এবং গুরুতর আহত নাতনীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ইফতারের পূর্বে ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল (দোতলা সাঁকো সংলগ্ন) এলাকায় এ
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে উত্তর বাঘইল ও চর-মিরকামারী গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতরা হলেন- পাকশী ইউনিয়নের উত্তর বাঘইল এলাকার মৃত রহমত সরদারের ছেলে বাবুল সরদার (৫৫) ও চর-মিরকামারী এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মুনতাহার (৫)।

স্থানোয়দের সূত্রে জানা যায়, নানার বাড়িতে ঈদ করতে মুনতাহা ইফতারের কিছু সময় আগে দেখার আবদার করে। নাতনীর আবদার মেটাতে রেল লাইনের উপর নানা ও নাতনি বেড়াতে যান। এসময় ট্রেনের ধাক্কায় নানা-নাতনীর মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. জিয়াউর রহমান জানান, নিহতদের পরিবারের লিখিত আবেদনে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নাতনীকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে নানা-নাতির মৃত্যু

প্রকাশিত সময় ১০:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫



নানার বাড়িতে ঈদ করা হলো না মুনতাহার (৫)। নানার বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিল মুনতাহা। মুনতাহাকে ট্রেন দেখাতে পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল (দোতলা সাঁকো সংলগ্ন) রেল লাইনে নিয়ে যান নানা বাবুল সরদার (৫৫)। সেখানেই ঘতে বিপত্তি।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দিক থেকে ট্রেনের ইঞ্জিন আসতে দেখে নাতনী দৌড়ে রেল লাইনের উপর উঠে যায়। এমতাবস্থায় নাতনীকে বাঁচাতে গেলে নাতনীর মত নানা বাবুল সরদার ছুটে গেলে উভয়ই ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় ছিটকে নিচে পড়ে যান। মোড়ের লোকজন ছুটে গিয়ে নানাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান এবং গুরুতর আহত নাতনীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ইফতারের পূর্বে ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল (দোতলা সাঁকো সংলগ্ন) এলাকায় এ
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে উত্তর বাঘইল ও চর-মিরকামারী গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতরা হলেন- পাকশী ইউনিয়নের উত্তর বাঘইল এলাকার মৃত রহমত সরদারের ছেলে বাবুল সরদার (৫৫) ও চর-মিরকামারী এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মুনতাহার (৫)।

স্থানোয়দের সূত্রে জানা যায়, নানার বাড়িতে ঈদ করতে মুনতাহা ইফতারের কিছু সময় আগে দেখার আবদার করে। নাতনীর আবদার মেটাতে রেল লাইনের উপর নানা ও নাতনি বেড়াতে যান। এসময় ট্রেনের ধাক্কায় নানা-নাতনীর মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. জিয়াউর রহমান জানান, নিহতদের পরিবারের লিখিত আবেদনে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।