ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:২১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 101

চলনবিলাঞ্চল প্রিতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক আনিসুর রহমান (২০)। উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।

পরে ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ধর্ষককে আটক করেছে।

নির্যাতিতার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা ছাত্রী পরিক্ষা দেয়ার জন্য উপজেলার আদাবাড়িয়া হাই স্কুলে যায়। ঘটনার দিন আনিসুর স্কুলের পাশ্ববর্তী তার এক আত্মীয় আব্দুল আলিমের বাড়িতে আগে থেকেই অবস্থান করছিল।

ঐ স্কুল ছাত্রী দুপুরে পরীক্ষা শেষ করে বাহির হলে আনিসুর তার আত্মীয়কে দিয়ে কৌশলে ডেকে নেয়।

এক পর্যায়ে আনিসুর ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন গিয়ে দু’জনকে আটক করে।

পরে তারা দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ প্রণো কে খবর দেয়। চেয়ারম্যান এসে মেয়েকে তার বাবা ও আনিস কে তার নিজ জিম্মায় নিয়ে যায় এবং ঐ দিন বিকেলে সালিশের সময় দেয়।

পরে ঐ দিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন আলোচনা চলে। ছেলের পরিবার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলেও মেয়ের পরিবার বিয়ের দিতে চায় ফলে বৈঠক অমিমাংসিত থেকে যায়।

পরে আনিসকে চেয়ারম্যান অশোক কুমার ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে শুক্রবার ভাঙ্গুড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আনিসকে থানায় নিয়ে আসে।

বৈঠক ফলপ্রসু না হওয়ায় মেয়ের পরিবার শুক্রবার মেয়েকে নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে আসে।

তাদের থানায় আসার খবর পেয়ে আনিসের আত্মীয় পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯নং ইউপি সদস্য হারুর অর রশিদ থানায় অবস্থায় নেয় যার কারনে সকাল আটটায় মেয়ের পরিবার থানায় আসলেও তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে পারে না।

একপর্যাযয়ে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে অভিযোগ করেন।

বিষয়টি চাটমোহর সার্কেলের সরহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানতে পেরে ভাঙ্গুড়া থানায় এসে নির্যাতিতাকে জিজ্ঞাসাদ করেন।

পরে থানা পুলিশ একটি অভিযোগ নেয়। পরে সন্ধ্যায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে পুলিশের হেফাজতে থাকা আনিসকে আটক দেখায় পুলিশ।

দিলপাশার ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আমরা থানায় থেকেছি। কিন্তু থানা পুলিশ আমাদের মামলা না নিয়ে বসিয়ে রাখে।

পরে আমরা স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে অভিযোগ করি। পরে সন্ধ্যায় থানা পুলিশ মামলা রুজু করে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিসের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই নির্দোষ। তাকে ফঁাঁসানো হয়েছে। তবে তিনি ঐ মেয়ের সাথে আনিসের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।

পারভাঙ্গুড়া ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, এসব মিথ্যা কথা। আনিস আমার আত্মীয় হওয়ায় আমি থানায় গিয়েছিলাম।

ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে কথা বলতে ওসি (তদন্ত) নাজমুল হককে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

পরে ডিউটি অফিসার এএসআই কামরুজ্জামান সন্ধ্যায় মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভাঙ্গুড়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১

প্রকাশিত সময় ১১:২১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

চলনবিলাঞ্চল প্রিতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক আনিসুর রহমান (২০)। উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।

পরে ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ধর্ষককে আটক করেছে।

নির্যাতিতার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা ছাত্রী পরিক্ষা দেয়ার জন্য উপজেলার আদাবাড়িয়া হাই স্কুলে যায়। ঘটনার দিন আনিসুর স্কুলের পাশ্ববর্তী তার এক আত্মীয় আব্দুল আলিমের বাড়িতে আগে থেকেই অবস্থান করছিল।

ঐ স্কুল ছাত্রী দুপুরে পরীক্ষা শেষ করে বাহির হলে আনিসুর তার আত্মীয়কে দিয়ে কৌশলে ডেকে নেয়।

এক পর্যায়ে আনিসুর ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন গিয়ে দু’জনকে আটক করে।

পরে তারা দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ প্রণো কে খবর দেয়। চেয়ারম্যান এসে মেয়েকে তার বাবা ও আনিস কে তার নিজ জিম্মায় নিয়ে যায় এবং ঐ দিন বিকেলে সালিশের সময় দেয়।

পরে ঐ দিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন আলোচনা চলে। ছেলের পরিবার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলেও মেয়ের পরিবার বিয়ের দিতে চায় ফলে বৈঠক অমিমাংসিত থেকে যায়।

পরে আনিসকে চেয়ারম্যান অশোক কুমার ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে শুক্রবার ভাঙ্গুড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আনিসকে থানায় নিয়ে আসে।

বৈঠক ফলপ্রসু না হওয়ায় মেয়ের পরিবার শুক্রবার মেয়েকে নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে আসে।

তাদের থানায় আসার খবর পেয়ে আনিসের আত্মীয় পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯নং ইউপি সদস্য হারুর অর রশিদ থানায় অবস্থায় নেয় যার কারনে সকাল আটটায় মেয়ের পরিবার থানায় আসলেও তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে পারে না।

একপর্যাযয়ে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে অভিযোগ করেন।

বিষয়টি চাটমোহর সার্কেলের সরহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানতে পেরে ভাঙ্গুড়া থানায় এসে নির্যাতিতাকে জিজ্ঞাসাদ করেন।

পরে থানা পুলিশ একটি অভিযোগ নেয়। পরে সন্ধ্যায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে পুলিশের হেফাজতে থাকা আনিসকে আটক দেখায় পুলিশ।

দিলপাশার ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আমরা থানায় থেকেছি। কিন্তু থানা পুলিশ আমাদের মামলা না নিয়ে বসিয়ে রাখে।

পরে আমরা স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে অভিযোগ করি। পরে সন্ধ্যায় থানা পুলিশ মামলা রুজু করে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিসের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই নির্দোষ। তাকে ফঁাঁসানো হয়েছে। তবে তিনি ঐ মেয়ের সাথে আনিসের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।

পারভাঙ্গুড়া ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, এসব মিথ্যা কথা। আনিস আমার আত্মীয় হওয়ায় আমি থানায় গিয়েছিলাম।

ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে কথা বলতে ওসি (তদন্ত) নাজমুল হককে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

পরে ডিউটি অফিসার এএসআই কামরুজ্জামান সন্ধ্যায় মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।