ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নবভরোনেসের রেফারেন্স প্ল্যান্ট রূপপুরে নির্মিত পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:৫৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২০
  • / 91

 

বাংলাদেশের রূপপুরে নির্মিত পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নবভরোনেসের রেফারেন্স প্ল্যান্ট।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিটের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদন শুরু করবে। এই প্রকল্পে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম) এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিজ্ঞানী নিকোলাই, ইনফরমেশন সেন্টারের প্রধান ইউরি এবং রোসাটম দক্ষিণ এশিয়ার জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ম্যাক্সিম সিসোয়েভ বাংলাদেশ সাংবাদিক প্রতিনিধি দলকে জানান, রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে নবভরোনেসে দেশটির সবচেয়ে বড় পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠায় নবভরোনেস আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ শহর হিসাবে গড়ে উঠেছে।

পরমানু শক্তির ব্যবহারকে শিল্প হিসেবে নিয়েছে রাশিয়া। এই শিল্পের সম্প্রসারণে ব্যাপক ভাবে কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম)।

সাতটি ইউনিটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি ইউনিট চালু আছে। তিনটি ইউনিটের আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে।

১৯৫৮ সালে ২১০ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর দিয়ে নবভরোনেস প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয় ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। নবভরোনেসের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যেগুলোর আয়ুকাল শেষ হয়েছে সেগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে রাশিয়ার।

বর্তমানে রাশিয়ার দশটি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রয়েছে। ছয়টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানাধীন রয়েছে।


১৯৮৬ সালে রশিয়ার চেরনোবিল বিপর্যয় ও ২০১১ সালে জাপানের ফুকওসিমা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা থেকে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম ৩জি(+) প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রি-অ্যাক্টর উদ্ভাবন করেছে রাশিয়া। ভারত, চীন, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরী এবং বেলারুস আধুনিক ১২০০ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি বেছে নিয়েছে।

বিশ্বের ১২টি দেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম) ৩৬টি ভিভিইআর প্রযুক্তির পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে।


১৯৫৪ সালে প্রথম পারমানবিক চুল্লি তৈরী হওয়ার পর থেকে পারমানবিক বিপর্যয়ের প্রভাব বিতর্ক ও উদ্বেগের মূল কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল।

এ প্রেক্ষিতে রাশিয়ার পারমানবিক সংস্থা রোসাটম দূর্ঘটনার ঝুকি হ্রাস ও পরিবেশের তেজষ্ক্রিয়তা হ্রাস করার প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ গ্রহন করে।

রাশিয়ার সর্বাধুনিক সর্বশেষ প্রযুক্তি নির্ভর প্রকল্প নবভরোনেস পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেফারেন্স প্ল্যান্ট বাংলাদেশের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনার জন্য মানব সম্পদ উন্নয়ন অপরিহার্য। বাংলাদেশের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ পরিচালনার জন্য ২৭০০ অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে।

আন্তর্জাতিক মানদন্ডের নিরিখে রাশিয়ার পারমানবিক সংস্থা বিভিন্ন মেয়াদে দক্ষ জনবল তৈরীতে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪শ জন প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে।

প্রশিক্ষণে থিওরী ক্লাসের পাশাপাশি প্রশিক্ষনার্থীদের রি-অ্যাক্টর প্ল্যান্টে নিয়ে ব্যবহারিক বিষয়ে সম্মক ধারনা দেয়া হয়, প্রশিক্ষণ পরবর্তিতে প্রশিক্ষনার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়।

প্রশিক্ষনার্থীরা খুব গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষণ মোকাবেলা করেন। রাশিয়ার পারমানবিক সংস্থা আশা করে এই সকল প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী অভিজ্ঞ জনবলই রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করতে সক্ষম হবে ।

নবভরোনেসের রেফারেন্স প্ল্যান্ট রূপপুরে নির্মিত পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রকাশিত সময় ০৮:৫৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২০

 

বাংলাদেশের রূপপুরে নির্মিত পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নবভরোনেসের রেফারেন্স প্ল্যান্ট।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিটের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদন শুরু করবে। এই প্রকল্পে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম) এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিজ্ঞানী নিকোলাই, ইনফরমেশন সেন্টারের প্রধান ইউরি এবং রোসাটম দক্ষিণ এশিয়ার জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ম্যাক্সিম সিসোয়েভ বাংলাদেশ সাংবাদিক প্রতিনিধি দলকে জানান, রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে নবভরোনেসে দেশটির সবচেয়ে বড় পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠায় নবভরোনেস আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ শহর হিসাবে গড়ে উঠেছে।

পরমানু শক্তির ব্যবহারকে শিল্প হিসেবে নিয়েছে রাশিয়া। এই শিল্পের সম্প্রসারণে ব্যাপক ভাবে কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম)।

সাতটি ইউনিটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি ইউনিট চালু আছে। তিনটি ইউনিটের আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে।

১৯৫৮ সালে ২১০ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর দিয়ে নবভরোনেস প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয় ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। নবভরোনেসের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যেগুলোর আয়ুকাল শেষ হয়েছে সেগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে রাশিয়ার।

বর্তমানে রাশিয়ার দশটি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রয়েছে। ছয়টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানাধীন রয়েছে।


১৯৮৬ সালে রশিয়ার চেরনোবিল বিপর্যয় ও ২০১১ সালে জাপানের ফুকওসিমা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা থেকে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম ৩জি(+) প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রি-অ্যাক্টর উদ্ভাবন করেছে রাশিয়া। ভারত, চীন, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরী এবং বেলারুস আধুনিক ১২০০ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি বেছে নিয়েছে।

বিশ্বের ১২টি দেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম) ৩৬টি ভিভিইআর প্রযুক্তির পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে।


১৯৫৪ সালে প্রথম পারমানবিক চুল্লি তৈরী হওয়ার পর থেকে পারমানবিক বিপর্যয়ের প্রভাব বিতর্ক ও উদ্বেগের মূল কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল।

এ প্রেক্ষিতে রাশিয়ার পারমানবিক সংস্থা রোসাটম দূর্ঘটনার ঝুকি হ্রাস ও পরিবেশের তেজষ্ক্রিয়তা হ্রাস করার প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ গ্রহন করে।

রাশিয়ার সর্বাধুনিক সর্বশেষ প্রযুক্তি নির্ভর প্রকল্প নবভরোনেস পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেফারেন্স প্ল্যান্ট বাংলাদেশের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনার জন্য মানব সম্পদ উন্নয়ন অপরিহার্য। বাংলাদেশের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ পরিচালনার জন্য ২৭০০ অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে।

আন্তর্জাতিক মানদন্ডের নিরিখে রাশিয়ার পারমানবিক সংস্থা বিভিন্ন মেয়াদে দক্ষ জনবল তৈরীতে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪শ জন প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে।

প্রশিক্ষণে থিওরী ক্লাসের পাশাপাশি প্রশিক্ষনার্থীদের রি-অ্যাক্টর প্ল্যান্টে নিয়ে ব্যবহারিক বিষয়ে সম্মক ধারনা দেয়া হয়, প্রশিক্ষণ পরবর্তিতে প্রশিক্ষনার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়।

প্রশিক্ষনার্থীরা খুব গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষণ মোকাবেলা করেন। রাশিয়ার পারমানবিক সংস্থা আশা করে এই সকল প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী অভিজ্ঞ জনবলই রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করতে সক্ষম হবে ।