ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সভাপতি না করায় সুবর্ণচরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:২৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০
  • / 196

 নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহাম্মদ কর্তৃক পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রব আনোয়ারীকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় উপজেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষকগণ তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

বিকাল ৪.০০ টায় শিক্ষক প্রতিনিধিগণ সকল শিক্ষককে নিয়ে এক জরুরী সভায় বসে এবং শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

পরে সকল শিক্ষকগণের সম্মতিতে শিক্ষক প্রতিনিধিগণের বিবৃতিতে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে ৫টি কর্মসূচীর ঘোষণা করেন।

(১) ১৪ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ বিকাল ৪ টায় শিক্ষক প্রতিনিধিদল বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণচর মহোদয়ের স্বাক্ষাতকরণ।

(২) ১৮ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ তারিখ রোজ সোমবার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক কালো ব্যাজ ধারণ।

(৩) ২০ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ রোজ সোমবার বিকাল ৪ টা সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ সম্মুখে মানববন্ধন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বরাবরে লাঞ্চনাকারী চেয়ারম্যানের বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণচর নোয়াখালীর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান।

(৪) ২৫ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ রোজ শনিবার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ ঘন্টা কর্মবিরতির কর্মসূচী পালন। (৫) ২৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ রোজ সোমবার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন।

শিক্ষক আবদুর রব আনোয়ারীর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন- আমি চর ওয়াপদা ইউনিয়নের হাজী লাল মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন আমাদের বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্ভোধনকালে অনুষ্ঠান হয়।

এসময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তাগণ অতিথি ছিলেন, ঐ অনুষ্ঠানে সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সভার সভাপতিত্ব করেন ।

তাই স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অনুষ্ঠানের সভাপতি করতে পারিনি। যার ফলে সোমবার মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলাতে গেলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে লাঞ্চিত করে।

বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে আসা শিক্ষকদের মধ্যে উত্তর কাটাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আমার বিদ্যালয়ে তার ঠিকাদারিত্বে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ নিম্মামানের হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সে মহুর্তে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন।

যা তখনকার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে জানিয়েছিলাম।

অন্যদিকে ১৯নং দক্ষিণ চরবাগ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ রাসেল বলেন, গত অর্থ বছরে আমার বিদ্যালয়ে তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নতুন ভবন নির্মাণ এর পর ১ বছরের মধ্যে দরজা-জানালা খুলে যাওয়ার বিষয়ে তাকে জানানোর পর তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে চাকায় পিষে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

বিষয়ে তৎক্ষনাত সে সময়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী ও শিক্ষা প্রশাসনসহ প্রধান শিক্ষকগণের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করে বিচার দাবী করে ছিলাম।

এ বিষয়ে ১৪ নং চর বাগ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, ঐ বিদ্যালয়ে (১৯নং দক্ষিণ চরবাগ্যা সপ্রাবি) রং এর কাজে সম্ভবত ক্যামিকেল ক্রটি রয়েছে।

এ কথা বলতেই উক্ত চেয়ারম্যান আমাকে মার মুখী হয়ে গালিগালাজ করেন, যা একজন জনপ্রতিনিধি কোন অবস্থাতেই কারো সাথে করতে পারেন না।

অন্যদিকে চেয়ারম্যানের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন- শিক্ষকের সাথে লাঞ্চনা করার মত কিছু হয়নি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ফোন করেছেন আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করব।

বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সভাপতি না করায় সুবর্ণচরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত

প্রকাশিত সময় ১১:২৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

 নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহাম্মদ কর্তৃক পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রব আনোয়ারীকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় উপজেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষকগণ তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

বিকাল ৪.০০ টায় শিক্ষক প্রতিনিধিগণ সকল শিক্ষককে নিয়ে এক জরুরী সভায় বসে এবং শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

পরে সকল শিক্ষকগণের সম্মতিতে শিক্ষক প্রতিনিধিগণের বিবৃতিতে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে ৫টি কর্মসূচীর ঘোষণা করেন।

(১) ১৪ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ বিকাল ৪ টায় শিক্ষক প্রতিনিধিদল বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণচর মহোদয়ের স্বাক্ষাতকরণ।

(২) ১৮ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ তারিখ রোজ সোমবার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক কালো ব্যাজ ধারণ।

(৩) ২০ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ রোজ সোমবার বিকাল ৪ টা সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ সম্মুখে মানববন্ধন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বরাবরে লাঞ্চনাকারী চেয়ারম্যানের বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণচর নোয়াখালীর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান।

(৪) ২৫ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ রোজ শনিবার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ ঘন্টা কর্মবিরতির কর্মসূচী পালন। (৫) ২৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ রোজ সোমবার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন।

শিক্ষক আবদুর রব আনোয়ারীর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন- আমি চর ওয়াপদা ইউনিয়নের হাজী লাল মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন আমাদের বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্ভোধনকালে অনুষ্ঠান হয়।

এসময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তাগণ অতিথি ছিলেন, ঐ অনুষ্ঠানে সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সভার সভাপতিত্ব করেন ।

তাই স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অনুষ্ঠানের সভাপতি করতে পারিনি। যার ফলে সোমবার মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলাতে গেলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে লাঞ্চিত করে।

বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে আসা শিক্ষকদের মধ্যে উত্তর কাটাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আমার বিদ্যালয়ে তার ঠিকাদারিত্বে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ নিম্মামানের হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সে মহুর্তে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন।

যা তখনকার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে জানিয়েছিলাম।

অন্যদিকে ১৯নং দক্ষিণ চরবাগ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ রাসেল বলেন, গত অর্থ বছরে আমার বিদ্যালয়ে তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নতুন ভবন নির্মাণ এর পর ১ বছরের মধ্যে দরজা-জানালা খুলে যাওয়ার বিষয়ে তাকে জানানোর পর তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে চাকায় পিষে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

বিষয়ে তৎক্ষনাত সে সময়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী ও শিক্ষা প্রশাসনসহ প্রধান শিক্ষকগণের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করে বিচার দাবী করে ছিলাম।

এ বিষয়ে ১৪ নং চর বাগ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, ঐ বিদ্যালয়ে (১৯নং দক্ষিণ চরবাগ্যা সপ্রাবি) রং এর কাজে সম্ভবত ক্যামিকেল ক্রটি রয়েছে।

এ কথা বলতেই উক্ত চেয়ারম্যান আমাকে মার মুখী হয়ে গালিগালাজ করেন, যা একজন জনপ্রতিনিধি কোন অবস্থাতেই কারো সাথে করতে পারেন না।

অন্যদিকে চেয়ারম্যানের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন- শিক্ষকের সাথে লাঞ্চনা করার মত কিছু হয়নি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ফোন করেছেন আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করব।