পাবনায় হিজরা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান
- প্রকাশিত সময় ০৮:০২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০
- / 69
পাবনায় হিজরা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে একশত ব্যাক্তিকে দশ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে পাবনা সমাজসেবা অধিদফতর। সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত অনগ্রসর ব্যাক্তিদের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ।
পাবনা জেলা সমাজসেবা অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে পাবনা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. রাশেদুল কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহেদ পারভেজ, সমাজসেবা পাবনা দফতরের সহকারী পরিচালক আ.কাদের, প্রবেশন অফিসার পল্লব ইবনে শাইক প্রমূখ। কর্মসূচীর উপর স্বাগত বক্তব্যদেন সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার গোলাম সরওয়ার।
পাবনা জেলা সমাজসেবার উপ পরিচালক মো. রাশেদুল কবীর জানান, পাবনা জেলায় বসবাসরত হিজরা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মুষ্ঠিমেয় কিছু ব্যাক্তিকে ২০১৮-১৯ সালে সমাজ সেবা অধিফতর থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের কর্মের পথ উম্মোচন করতে প্রাথমিকভাবে দশ হাজার টাকা করে পঞ্চাশজন হিজরাকে পাাঁচ লাখ এবং বেদে ও অনগ্রসর প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ৫০ জন দলীত শ্রেনীর ব্যাক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা, মোট দশ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হলো। প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের দলীয়ভাবে ভাগ করে হিজরা জনগোষ্ঠিকে সেলাই প্রশিক্ষন, কম্পিউটার পরিচালনা ও বিউটি পার্লারের প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। বেদে ও অনগ্রর জনগোষ্ঠিকে কম্পিউটার পরিচালনা, বিউটি পার্লার ও মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেডে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছিল। ওইসকল শ্রেনীর জনগোষ্ঠি পাবনাতে আরো অনেক রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সরকারী নির্দেশ ও অনুদানের ভিত্তিতে তাদেরকেও প্রশিক্ষিত করে জীবনমান উন্নয়ন ও আর্থিক সাবলম্বী করে তোলার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হিজরা শফিকুল ইসলাম বিউটি জানান, প্রশিক্ষন নেবার পর তিনি নারী বেষ ছেড়ে পুরুষ বেষ নেয়ায় বর্তমানে ব্র্যাক এনজিওতে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কর্ম পেয়ে তার জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। আর্থিক সচ্ছলতাও ফিরে এসেছে। নকিবুল ইসলামসহ একাধিক হিজরা বলেন, তারা যে যে প্রশিক্ষন পেয়েছে, সে সেই কর্মে নিয়োজিত হতে ইচ্ছুক। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রধান অতিথি কবীর মাহমুদ বলেন, সদেচ্ছায় প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের এগিয়ে যেতে হবে। সরকার যে মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে কাউকে নিচু থাকতে হবে না। জাতি বৈষম্যের নিরসন ঘটবে। সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে সবার জীবনমান উন্নয়নের। তবে নিজে চেষ্টা করে সাফলতা অর্জন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষনপ্রাপ্তগন দলীয়ভাবে গ্রæপ করে একটি করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য জেলা সমাজ সেবা ও জেলা প্রশাসন বিধি মোতাবেক আর্থিক যোগান দেবার ব্যবস্থা করবে।