হাবিল উদ্দিন, বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গোচর গ্রামের রাজমিস্ত্রী হতদরিদ্র আলমগীর হোসেন শুকটার ছেলে সৌরভ হাসান হাসমি(৯)।

শিশু সৌরভ হাসান হাসমি মূত্রনালির সমস্যায় ভুগছে। অপারেশনসহ তার চিকিৎসার জন্য প্রায় দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবে রাজমিস্ত্রী বাবা।যার দিন আনতে পানতা ফুরাই।প্রতিদিন যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসারই চলে।এতো অর্থ ব্যয় করার সাধ্য তার গরিব পরিবারের নেই। কী করে ছেলেকে বাঁচাবে এ নিয়ে চরম শঙ্কায় আর উৎকণ্ঠায় আছেন সৌরভ হাসান হাসমির মা-বাবা।
শিশুটির বাবা নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের হৃদয়বান ও  বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৌরভ হাসান হাসমি ইন্ডিয়ার চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো চিলড্রেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জিমি সায়েদের অধীনে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে সৌরভ হাসান হাসমির মা হাসনাহেনা বেগম জানান, শ্বশুর ইব্রাহীম আলী মৃত্যুর পর ১০ শতাংশ জমি পেয়েছি। এই জমির ওপর একটি টিনের ছাপড়াঘর তুলে কোনোমতে বসবাস করছিলাম।
ছেলের চিকিৎসার জন্য গাজীপুর দিগন্ত সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে আমরা দুজনে চাকরি নিই। সেখানে দুজনে ১২ হাজার টাকায় কিছু দিন চাকরি করি। তার পর আমার ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়।
সেখান থেকে নিজ বাড়ি চলে আসি। শ্বশুরের পাওয়া ওই জমির মধ্যে চিকিৎসার জন্য ৫ কাটা জমি বিক্রি করা হয়েছে। বাকি জমিটুটুও বিক্রি করার চিন্তা করছি।
সৌরভ হাসান হাসমির বাবা আলমগীর হোসেন শুকটা জানান, বর্তমানে রাজমিস্ত্রির কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা আয় হয়। কোনো দিন কাজ থাকে আবার কোনো দিন থাকে না। প্রতিদিন ওষুধ লাগে ৪৫০ টাকার। এ টাকা দিয়ে সংসার ও ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। এক বছর থেকে ছেলেটির মূত্রনালির সমস্যা হওয়ায় চোখে কম দেখছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু দেখতে পায় না।
অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এখন ছেলের চিকিৎসা করাব কীভাবে? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। বর্তমানে থাকার ঘরটি ভেঙে যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে আছি।
সৌরভ হাসান হাসমি স্থানীয় চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। ছেলেকে নিয়ে সৌরভ হাসান হাসমির রাজমিস্ত্রি বাবা আলমগীর হোসেন শুকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নিরুপায় হয়ে দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- আলমগীর হোসেন শুকটা, বিকাশ নম্বর ০১৭০৪-২৪২৯৮৫ (ব্যক্তিগত)।