পাবনায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন
- প্রকাশিত সময় ০৯:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 151
পাবনা প্রতিনিধিঃ ঢাকার বাইরে দেশের সর্ব বৃহৎ একমাত্র মাস ব্যাপী বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় পাবনায়।
এই বইমেলা গৌরবময় পাবনাকে জ্ঞান চর্চায় আরো সমৃদ্ধ করছে। সেই সাথে ১২৯বর্ষী অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরী পাবনাবাসীর জন্য তথ্য ভান্ডার হিসেবে সেবা দান করে চলছে। যা জেলা শহরের জন্য একটি অকল্পনীয় পাওয়া। বলেছেন আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি পাবনার কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহরের দোয়েল চত্বরে অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে ও পাবনা বইমেলা উদযাপন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় মাসব্যাপী বইমেলা ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীর সপ্তাহ ব্যাপী পুস্তক প্রদশনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম পিপিএম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর শিবিজত নাগ, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির মহাসচিব আব্দুল মতীন খান। উপস্থাপনা করেন এ্যাড. মুশফেকা জাহান কণিকা। অনুষ্ঠানে পাবনার বিশিষ্টজন, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন আনুষ্ঠিকতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পড়ে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী দিনে মেলা মঞ্চে পাবনার খ্যাতিমান শিল্পীবৃন্দ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় প্রধান অতিথি অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।
এবার মেলায় ৩১টি স্টল স্থান পেয়েছে। মাস ব্যাপি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, তার বাড়ি শহরের নয়নামতিতে। পাবনা স্টেডিয়ামের আশপাশেই তিনি বড় হয়েছেন। লেখাপড়া করেছেন জিসিআই ইনিস্টিটিউট ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে। শৈসবে তিনি অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরিতে বিভিন্ন বই ও পত্রিকা পড়তেন নিয়মিত। তার বড় হওয়ার পিছনে এই লাইব্রেরির অনেক অবদান রয়েছে। তিনি এই ঐতিহ্যবাহী বইমেলায় দাওয়াত পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন। তিনি বলেন প্রযুক্তির যুগে মলাটবন্ধ বই থেকে মানুষ দুরে সরে যাচ্ছে। মানুষ সবাই দিন দিন ইন্টারনেট মুখি হয়ে পড়ছে। কিন্ত তিনি মলাট বন্ধ বইয়ের বিকল্প দেখছেন না। সময় বাঁচাতে এবং প্রকৃত জ্ঞান আহরণ করতে মলাটবন্ধ বই পড়ার আহবান জানান তিনি।